ভারত তার বৈচিত্র্যের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত, আর এই বৈচিত্র্যেরই এক বিশেষ প্রতিচ্ছবি হল উৎসবের সময়কাল। একদিকে রয়েছে ঝকঝকে আরামদায়ক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express), অন্যদিকে সাধারণ এক্সপ্রেস এবং মেইল ট্রেনগুলোর ভিড়, যেখানে যাত্রীদের গাদাগাদি করে চলতে দেখা যায়। বিশেষত অক্টোবর-নভেম্বরে, দুর্গা পূজা, দীপাবলি ও অন্যান্য বড় উৎসবের সময়ে এই ভিড়ের ছবি আরও প্রকট হয়ে ওঠে। কোটি কোটি মানুষ নিয়মিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘরে ফেরার চেষ্টা করেন। ফলে ট্রেনের কোচগুলোতে যাত্রীদের যেন ঠাসাঠাসি অবস্থায়, স্যাডিনের মতো পরিপূর্ণ দেখা যায়।
ভারতীয় রেলওয়ে (India Railway) সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্দে ভারতসহ বেশ কিছু আধুনিক ট্রেন ও নতুন রুট সংযোজন করেছে। তবে, উৎসবের সময়ে যাত্রীসংখ্যা এতটাই বেড়ে যায় যে ট্রেনের এই নতুন সংযোজনগুলোও যেন ভিড়ের চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়। এ যেন রেলের সক্ষমতা বাড়ানোর সত্ত্বেও দেশের জনসংখ্যার বিপুল চাপেরই একটি প্রতিফলন।
জামাত-ই-ইসলামির ‘গোপন সমর্থন’ নিয়ে প্রিয়ঙ্কার লড়াই? সিপিএমের অভিযোগে চাপে কংগ্রেস
অক্টোবর-নভেম্বর মাসের এই চিত্রটির প্রেক্ষিতে চিনের বার্ষিক স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল বা লুনার নিউ ইয়ারের সময়ের ছবির মধ্যে রয়েছে বৈপরীত্য। চিনের লুনার নিউ ইয়ারের সময়ে প্রতি ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বের বৃহত্তম বাৎসরিক জনমোহন ঘটে, যেখানে কয়েক কোটি মানুষ নিজ নিজ ঘরে ফেরেন।
তবে, সেখানকার প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার ফলে সেই বিশাল যাত্রা যেন সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়, তুলনায় কম বিশৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা বজায় থাকে।
‘ফাইভ আইজ’ দেশ অস্ট্রেলিয়া থেকে কানাডাকে চাপ জয়শঙ্করের, খালিস্তান নিয়ে সুর নরম ট্রুডোর
ভারত ও চিনের এই ভ্রমণ চিত্র একে অপরের থেকে ভিন্ন হলেও দু’টি দেশেই রয়েছে জনসংখ্যা ও সামাজিক সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রভাব। চিনের মতো বড় সংখ্যক যাত্রীর চাপ থাকলেও যাত্রা ব্যবস্থাপনায় তুলনামূলকভাবে কম বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায়। ভারতে যেখানে রেলের ভিড়ের চিত্র যেন দেশের জনসংখ্যা, সুযোগ এবং ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতাকে তুলে ধরে, সেখানে চিনে এর বিপরীতে রয়েছে নিয়মানুবর্তিতা এবং সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা।