জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাড গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা, অপারেশন সিঁদুরে কাঁপল সীমান্ত

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (India Pak Tensions) পর গোটা দেশ জুড়ে যখন শোক ও ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল, তখনই ভারতীয় সেনা ও কেন্দ্রীয় সরকার (India Pak Tensions)…

India-Pakistan Tensions Escalate: Mock Drills Across States, Cross-Border Firing at LoC, UNSC Monitoring Situation

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (India Pak Tensions) পর গোটা দেশ জুড়ে যখন শোক ও ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল, তখনই ভারতীয় সেনা ও কেন্দ্রীয় সরকার (India Pak Tensions) স্পষ্ট করে দিয়েছিল—এই হামলার জবাব কড়াভাবে দেওয়া হবে। আর সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই শুরু হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’(India Pak Tensions) । পাকিস্তান (India Pak Tensions) অধিকৃত কাশ্মীরে চালানো এই সামরিক অভিযানে ভারত গুনে গুনে প্রতিশোধ নেয় ৪০ জন জওয়ানের প্রাণহানির।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (India Pak Tensions) ঘটনা শুধু একটিমাত্র হামলা নয়, এটি ছিল ভারতের উপর আত্মঘাতী সন্ত্রাসের একটি নির্মম আঘাত। এই হামলায় যে ধরনের বিস্ফোরক ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, তাতে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে যে এর পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের মদত ও পরিকল্পনা। ঠিক এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী (India Pak Tensions) নরেন্দ্র মোদী জোর দিয়ে বলেন—“হামলাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীরা ছাড়া পাবে না”।

   

এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের (India Pak Tensions) উপর একের পর এক কড়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারত। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা হয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ। বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানকে একঘরে করতে শুরু হয় কূটনৈতিক প্রচার। কিন্তু শুধু কূটনীতি নয়, সামরিকভাবেও এবার প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর ছিল ভারত।

অপারেশন সিঁদুর (India Pak Tensions) নামের এই সামরিক অভিযান(India Pak Tensions) রাতারাতি নয়, এটি ছিল কয়েকদিনের গভীর পরিকল্পনার ফসল। প্রধানমন্ত্রী(India Pak Tensions) নরেন্দ্র মোদী একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা ও নৌসেনার প্রধানদের সঙ্গে। সব দিক খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—সন্ত্রাসের উৎসেই আঘাত হানা হবে।

বুধবার মধ্যরাতে, ভারতের বিশেষ কমান্ডো (India Pak Tensions) ইউনিট এবং ড্রোনের সমন্বয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়। অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই আঘাত চালানো হয়, যাতে সাধারণ নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্তত ১০০ জন জঙ্গি এই অভিযানে নিকেশ হয়েছে। একাধিক লঞ্চপ্যাড ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়।

এই অভিযান চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী (India Pak Tensions) নিজে রাতভর নজরদারি চালান। প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি খোঁজখবর নেন ও সেনা কর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখেন। পরের দিন সকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং অভিযানের বিস্তারিত রিপোর্ট নেন।

‘অপারেশন সিঁদুর’ (India Pak Tensions) ভারতের সামরিক ইতিহাসে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। এই অভিযান শুধু এক প্রতিশোধ নয়, এটি বিশ্বের কাছে একটি বার্তা—ভারত এখন আর নীরব দর্শক নয়। দেশের মাটিতে রক্ত ঝরালে, তার জবাব দেওয়া হবে শত্রুর ঘরে ঢুকে।

বিশ্বরাজনীতিতেও (India Pak Tensions) এই অভিযানের প্রভাব পড়েছে। একদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের কূটনৈতিক চাপ বাড়ছে, অন্যদিকে ভারতের অবস্থান আরও দৃঢ় হচ্ছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই অপারেশন ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর কৌশলগত ক্ষমতা ও গোয়েন্দা সক্ষমতা দুই-ই তুলে ধরেছে।

শেষ কথা হল, সিঁদুর শুধু বিয়ের প্রতীক নয়, এবার সে হয়ে উঠল দেশের (India Pak Tensions) প্রতিশোধের প্রতীক। ভারত আবার প্রমাণ করল—আঘাতের জবাব চুপচাপ নয়, গর্জে উঠে দেওয়া হয়।

Advertisements