ভারতের ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুলিবিনিময়ের ঘটনা নিয়ে একটি ফ্ল্যাগ মিটিং করতে চলেছে। প্রতিরক্ষা সূত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে, বৈঠকটির বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার, পুঞ্চ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর সন্ত্রাসী তৎপরতা শনাক্ত করার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর পর গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কোর (White Knight Corps) এই ঘটনা সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়েছে।
হোয়াইট নাইট কোরের পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় জানানো হয়, “পুঞ্চ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্ত্রাসী গতিবিধি শনাক্ত করা হয়েছে। সতর্ক সেনারা গুলি চালায়, যার ফলে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে অভিযান চলমান রয়েছে।” এদিনের গুলিবিনিময়ে কোনো সেনা বা সন্ত্রাসীর মৃত্যুর খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে, পরিস্থিতি যথেষ্ট গুরুতর এবং সেনাবাহিনী সন্ত্রাসী তৎপরতা রুখতে সক্ষম হওয়ার জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
এছাড়া, পাক সেনাবাহিনীও এলওসি বরাবর সীমান্তে শত্রুতা এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। পুঞ্চ সেক্টরে গুলিবিনিময়ের ঘটনাটি একটি বড় ধরণের উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং এটি সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও তীব্র করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই এলাকা অনেকবার সংঘর্ষের সাক্ষী হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী একাধিকবার পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে মদত দেওয়ার অভিযোগে দায়ী করেছে।
তবে, এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সেনাবাহিনী একে অপরের প্রতি উত্তেজনা কমাতে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকটির লক্ষ্য সীমান্তে নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য একটি কার্যকর সমাধান খোঁজা।
উল্লেখযোগ্য যে, গত কয়েক মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে সীমান্তে বেশ কিছু উত্তেজনা এবং গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে পুঞ্চ সেক্টরের ঘটনাগুলি বিশেষভাবে নজরকাড়া। এই ফ্ল্যাগ মিটিং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এবং সীমান্তের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।