Su-30MKI ফাইটারের জন্য 240 টি অ্যারো ইঞ্জিন অর্ডার দিল ভারত

Sukhoi Su-30MKI – বলা যেতে পারে এটি ভারতের ফাইটার জেট ফ্লিটের ব্যাকবোন বা মেরুদণ্ড। এই ফাইটার জেট হচ্ছে রাশিয়ান ডিজাইনের। জানা যাচ্ছে, ভারত সম্প্রতি এই…

Su-30MKI-fighter

Sukhoi Su-30MKI – বলা যেতে পারে এটি ভারতের ফাইটার জেট ফ্লিটের ব্যাকবোন বা মেরুদণ্ড। এই ফাইটার জেট হচ্ছে রাশিয়ান ডিজাইনের। জানা যাচ্ছে, ভারত সম্প্রতি এই যুদ্ধবিমানের জন্য ২৪০ টি ইঞ্জিন অর্ডার করেছে।

এই মাসের শুরুত ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটির অনুমোদনের পরই কর্মকর্তারা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) –এর সঙ্গে AL -31 FP ইঞ্জিনের চুক্তি সাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মূল্য ২৬০ বিলিয়ানেরও বেশি। এই চুক্তির অধীনে এক বছর পর প্রথম ইঞ্জিন হস্তান্তর করা হবে ভারতীয় বায়ু সেনাকে (IAF)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বিবৃতি অনুযায়ী সমস্ত ইঞ্জিন আগামী ৮ বছরের মধ্যে সরবরাহ সম্পূর্ণ হবে। উল্লেখ্য, বছরে ৩০ টি করে ইঞ্জিন উৎপাদন হবে।

   

রাশিয়ান লাইসেন্সের অধীনেই এই ইঞ্জিন গুলো HAL-এর তৈরি। ইঞ্জিনগুলিতে বর্তমানে ৫৪ % স্থানীয় সামগ্রী রয়েছে। তবে কোম্পানি এই সংখ্যাকে ৬৩ % -এ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, “এটি অ্যারো ইঞ্জিনগুলির মেরামত এবং ওভারহল কাজের স্বদেশী সামগ্রীকেও বাড়িয়ে তুলবে।”

মন্ত্রক আরও বলেছে, “এই অ্যারো ইঞ্জিনগুলি HAL-এর কোরাপুট বিভাগে তৈরি করা হবে এবং দেশের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির জন্য Su-30 ফ্লিটের অপারেশনাল সক্ষমতা বজায় রাখতে ভারতীয় বায়ু সেনার চাহিদা পূরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

রাশিয়া তাদের Su-30SM ফাইটারের জন্য নতুন এবং আরও শক্তিশালী AL-41FS দিয়ে আপগ্রেড করলেও উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারত তা করেনি। ভারত বেছে নিয়েছে AL-31FP ইঞ্জিনকেই। অপর দিকে, লোকসান মেটাতে, IAF ১.৩ বিলিয়ন ডলারে HAL থেকে ১২ টি নতুন Su-30MKI কিনছে, যার অনুমোদন ২০২৩ সালেই পেয়েছিল।