ভারতের পরমাণু কেন্দ্রে ISI গুপ্তচর! ঘুম উড়ল মোদী সরকারের

india-nuclear-espionage-hussaini-brothers-arrest

নয়াদিল্লি: ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরেকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘুম উড়িয়েছে ভারত সরকারের। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল অফিসাররা দুই ভাই, আদিল হুসাইনি (৫৯) এবং আখতার হুসাইনিকে গ্রেফতার করেছে, যারা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র নির্দেশে ভারতের পরমাণু স্থাপনা ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে (BARC) গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছিল।

Advertisements

এই ঘটনা শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকেই চ্যালেঞ্জ করে তা নয়, বরং রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে যুক্ত একটা বিস্তৃত নিউক্লিয়ার এসপিয়োনেজ নেটওয়ার্কের দিকে ইঙ্গিত করে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন এই নেটওয়ার্কের গভীরে প্রবেশ করে তদন্ত করছে, যাতে আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনের নাম উঠে এসেছে।

   

WhatsApp আনল পাসওয়ার্ড ছাড়া ব্যাকআপ সেভ করার সুবিধা

আদিল হুসাইনি, যিনি জামশেদপুরের টাটা নগরের বাসিন্দা এবং বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন সৈয়দ আদিল হুসাইন, নাসিমুদ্দিন এবং সৈয়দ আদিল হুসাইনি, তাকে দিল্লির সীমাপুরি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ভাই আখতারকে মুম্বাই পুলিশ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার টিপসের ভিত্তিতে ধরেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই ভাইদের দলটি বার্কের বিজ্ঞানীদের ভান করে সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছিল।

Advertisements

তারা নকল পরিচয়পত্র তৈরি করে বার্কের লোগো ব্যবহার করেছে এবং এমনকি সংস্থায় প্রবেশের চেষ্টা করেছে, যদিও তা সফল হয়নি। আখতারের কাছে থেকে পুলিশ দুটি নকল বার্ক আইডি কার্ড উদ্ধার করেছে, যার একটিতে নাম অ্যালেক্সান্ডার পালমার এবং অন্যটিতে আলি রাজা হুসাইনি। এছাড়া, নকল শিক্ষাগত ডিগ্রি, পাসপোর্ট, ম্যাপ, পেনড্রাইভ এবং মোবাইল ফোনও পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অংশ হল আদিলের স্বীকারোক্তি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানিয়েছে যে, সে একজন রাশিয়ান বিজ্ঞানীর কাছ থেকে নিউক্লিয়ার-সম্পর্কিত ডিজাইন সংগ্রহ করে তা ইরানের অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন (এইওআই)-এর একজন এজেন্টকে বিক্রি করেছে। এই লেনদেন থেকে সে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছে, যার একটা অংশ দুবাইয়ে সম্পত্তি কিনতে ব্যয় করা হয়েছে এবং বাকিটা বিলাসিতায় খরচ করা হয়েছে।

পুলিশের মতে, এই ভাইরা বিদেশী নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছিল এবং পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছে। আদিলের কাছে থেকে একটা আসল এবং দুটি নকল ভারতীয় পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে, যা তারা একটা ফেক পাসপোর্ট র‍্যাকেট চালিয়ে তৈরি করেছে। এই র‍্যাকেটের মাধ্যমে কতজন লোক নকল পাসপোর্ট পেয়েছে, তা এখন তদন্তের বিষয়।