C-RAM System: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বল্পস্থায়ী বিরোধ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে আধুনিক যুদ্ধের যুগ এসে গেছে। শত্রুকে ধ্বংস করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন অস্ত্রের প্রয়োজন। সাম্প্রতিক সংঘাতে, পাকিস্তান ড্রোনের মাধ্যমে ভারতে আক্রমণ এবং গুপ্তচরবৃত্তির চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতীয় অস্ত্র এবং বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের পরিকল্পনা সফল হতে দেয়নি। এই ধরণের হুমকির ধারাবাহিকতার পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতকে জরুরি ভিত্তিতে কাউন্টার-রকেট, আর্টিলারি এবং মর্টার (সি-র্যাম) সিস্টেম তৈরি করতে হবে।
দুর্দান্ত ব্যবহারের অস্ত্র
ভারত যদি সি-র্যাম সিস্টেম তৈরি করে, তাহলে এটি কেবল আমাদের আকাশ হুমকি থেকে রক্ষা করবে না বরং শত্রুকে উপযুক্ত জবাবও দিতে সক্ষম হবে। IDRW-এর একটি প্রতিবেদনে এই ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর সাহায্যে কেবল ড্রোনই ধ্বংস করা যাবে না, বরং রকেট, কামান এবং মর্টারের মতো শত্রুর অস্ত্রও ধ্বংস করা যাবে।
এই ব্যবস্থাটি আমেরিকা এবং রাশিয়া দ্বারা অনুপ্রাণিত
C-RAM সিস্টেমটি আমেরিকার ফ্যালানক্স এবং ইজরায়েলের আয়রন ডোম দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই দুটি সিস্টেমই সর্বশেষ রাডার এবং ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর দিয়ে সজ্জিত এবং দ্রুত গতিশীল ছোট লক্ষ্যবস্তুগুলিকে সহজেই ট্র্যাক এবং ধ্বংস করতে পারে। এখন ভারতেরও একই ধরণের ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে।
C-RAM সিস্টেম কীভাবে কাজ করে?
এই সিস্টেমটি কম উচ্চতার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি লেজার বা সস্তা গোলাবারুদের মতো নির্দেশিত-শক্তি অস্ত্র ব্যবহার করে। যখনই কোনও আকাশ হুমকি ট্র্যাক করা হয়, তখনই এটি লেজার বা গোলাবারুদ দিয়ে আক্রমণ করে। এতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয় না।
S-400 এবং আকাশের থেকে কীভাবে এগিয়ে?
এটি S-400 এবং আকাশ বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো শক্তিশালী নাও হতে পারে। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলি S-400 এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রাডারের নাগালের নিচে উড়ে যায় এবং তারা সেগুলি ধরতে অক্ষম হয়। এমন সময়ে সি-র্যামের গুরুত্ব বেড়ে যায়। এর আরও একটি সুবিধা হল, শত্রু ড্রোন মোকাবিলায় ভারতকে ব্যয়বহুল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে হবে না। C-RAM সিস্টেমটি সাশ্রয়ী প্রমাণিত হবে।