জয়পুর: সিজনটা উৎসবের৷ আর রাজস্থানের জয়পুরের একটি মিষ্টির দোকান সেই উৎসবকে নিয়ে গেল এক নতুন উচ্চতায়। তারা বাজার নিয়ে এল ‘স্বর্ণ প্রসাদম’ (Swarn Prasadam), যা বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে দামি মিষ্টি বলে দাবি করা হচ্ছে। এই মিষ্টির প্রতি কেজির দাম ১,১১,০০০ টাকা।
এই বিপুল দামের কারণ কী? মিষ্টিটির প্রস্তুতকারকদের দাবি, এটি তৈরি হয়েছে ২৪-ক্যারেট ভোজ্য সোনা বা ‘স্বর্ণ ভস্ম’ (Gold Ashes) ব্যবহার করে।
১,১১,০০০ টাকা দামের মিষ্টিতে কী আছে?
মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক অঞ্জলি জৈন এএনআইকে জানিয়েছেন, এই মিষ্টিটিকে “আল্ট্রা প্রিমিয়াম” বানানোর জন্য একাধিক বিলাসবহুল উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
স্বর্ণ ভস্ম (Swarna Bhasma): মিষ্টিতে ২৪-ক্যারেট সোনা ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভারতীয় আয়ুর্বেদ প্রথা থেকে অনুপ্রাণিত ‘স্বর্ণ ভস্ম’ আকারে মেশানো হয়েছে।
ভোজ্য সোনার কাজ (Gold Work): এর উপর জৈন মন্দির থেকে আনা সোনার কাজ লাগানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে ‘অ্যানিমেল ক্রুয়েলটি-ফ্রি’ (Animal Cruelty-Free)।
চিলগোজা (Chilgoza): মিষ্টিটি তৈরি হয়েছে চিলগোজা নামক সবচেয়ে দামি এবং প্রিমিয়াম ড্রাই ফ্রুট দিয়ে।
প্যাকেজিং: মিষ্টির চেহারা এবং প্যাকেজিংও অত্যন্ত প্রিমিয়াম। এটি একটি অলংকারের বাক্সের (Jewellery Box) মধ্যে প্যাক করে দেওয়া হচ্ছে।
অন্যান্য উপাদান: স্বাদের জন্য এতে জাফরান (Saffron) মেশানো হয়েছে এবং উপরে কিছু পাইন নাটসের (Pine Nuts) টুকরা দেওয়া হয়েছে।
২৪-ক্যারেট সোনা India Most Expensive Sweet
অঞ্জলি জৈন বলেন, “আমরা এতে ২৪-ক্যারেট সোনার কাজ ব্যবহার করছি, যা আমরা জৈন মন্দির থেকে কিনেছি, আর এটা সম্পূর্ণ প্রাণী-নির্যাতন-মুক্ত। সোনার ভস্ম আমরা ভারতীয় আয়ুর্বেদ ঐতিহ্য থেকে নিয়েছি। যে কোনও জিনিস যা ভারতীয় ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে, তা স্বভাবতই অমূল্য।”
দোকানটিতে ‘স্বর্ণ প্রসাদম’ ছাড়াও আরও কিছু ২৪-ক্যারেট সোনা-মিশ্রিত হাই-এন্ড মিষ্টি রয়েছে। যেমন, পিস্তা লনজে (Pista Lonje) ৭,০০০ টাকা/কেজি, কাজু কাতলি ৩,৫০০ টাকা/কেজি, লাড্ডু ২,৫০০ টাকা/কেজি এবং রসমালাইয়ের বিলাসবহুল সংস্করণ।
এই ‘স্বর্ণ প্রসাদম’ নিঃসন্দেহে এই উৎসবের মরসুমে এমন একটি বিলাসিতার প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা কেবল সমাজের অভিজাত শ্রেণীই উপভোগ করতে পারবে।