পাকিস্তানের মিডিয়া সূত্রের দাবি অনুযায়ী, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী আজ মাঝরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নামে একটি বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গি লঞ্চ প্যাাড ধ্বংস করা, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল। পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর ও মুজাফফরাবাদে ভারতীয় বাহিনী মোট নয়টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাহাওয়ালপুরে চারটি স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং মুজাফফরাবাদে একটি গ্রিড স্টেশন মিসাইল হামলার শিকার হয়েছে। তবে ভারতীয় সরকার বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও এই অভিযান সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি। এই হামলার ফলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে ২৬ জন নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনার পর থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, যার জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী -এর মুখপাত্র খাজা আসিফ সম্প্রতি দাবি করেছেন যে ভারত যে কোনো মুহূর্তে এলওসি বরাবর হামলা চালাতে পারে। এই অভিযানের পর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
Justice is Served.
Jai Hind! pic.twitter.com/Aruatj6OfA
— ADG PI – INDIAN ARMY (@adgpi) May 6, 2025
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর আগে বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাহালগাম হামলার পর ভারত ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশকে সংযম ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি ইসলামাবাদ সফর করে উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছেন।
এই অপারেশনের ফলে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা বেড়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারতের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা। তবে এর ফলে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব পড়তে পারে।