Nuclear Missile Submarine: ভারত তার পরমাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিশাখাপত্তনমের শিপ বিল্ডিং সেন্টারে (SBC) লঞ্চ করল চতুর্থ পারমাণবিক শক্তি চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Defence Minister Rajnath Singh) এই সাবমেরিন মিসাইলটি ১৬ অক্টোবর বিশাখাপত্তনমের জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রে লঞ্চ করেন।
এটি একটি দেশীয় পারমাণবিক সাবমেরিন, এর 75% উপাদান ভারতে তৈরি। এই সাবমেরিনের কোডনেম S4। এই ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিনের বিশেষত্ব হল এটি 3500 কিলোমিটার পাল্লার পারমাণবিক ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে সজ্জিত।
বিশেষত্ব কী?
নৌ সেনার চালু করা S4 সাবমেরিনটি 3,500 কিলোমিটার পাল্লার K-4 পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত। যা ভার্টিকাল লঞ্চিং সিস্টেমের মাধ্যমে ফায়ার করা যায়। এই শ্রেণীর প্রথম সাবমেরিন হল INS অরিহন্ত, যেটি 750 কিলোমিটার পাল্লার K-15 পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত। আইএনএস অরিহন্ত এবং আইএনএস অরিঘাট উভয়ই ইতিমধ্যে গভীর সমুদ্রে টহল দিচ্ছে।
ভারতের প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন INS চক্রের নাম ছিল S1, INS অরিহন্তের নাম S2, INS আরিঘাটের নাম S3। এর পর এখন আইএনএস আরিদামনের নাম হয়েছে এস৪। এই ক্যাটাগরির শেষ সাবমেরিন S4, যেটি সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লঞ্চ করেছেন।
সাবমেরিনের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে
প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তানের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার পারমাণবিক সাবমেরিন কর্মসূচিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এই কারণেই সরকার ভারতীয় নৌ সেনার জন্য পারমাণবিক হামলা এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিনের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে।
এছাড়াও, সম্প্রতি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি ভারতীয় নৌ সেনার জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। এই সাবমেরিনগুলি বিশাখাপত্তনমের জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রে প্রস্তুত করা যেতে পারে। লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর মতো বেসরকারি কোম্পানিও এটি তৈরিতে যুক্ত হতে পারে।
এসব সাবমেরিন হবে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত দেশীয়। এছাড়াও, এই সাবমেরিনগুলি অরিহন্ত শ্রেণীর থেকে আলাদা হবে। এই সাবমেরিনগুলি প্রজেক্ট অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ভেসেলের অধীনে তৈরি করা হবে।