নয়াদিল্লি: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারত এবার আকাশ, সাগর ও স্থল-ত্রিবাহিনীর সম্মিলিত মহড়া ‘এক্স ট্রিশুল’ আয়োজন করেছে। এই মহড়ার জন্য নোটিস টু এয়ারম্যান (NOTAM) জারি করা হয়েছে, যা ৩০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। স্যাটেলাইট বিশ্লেষক ড্যামিয়ান সিমন জানান, নির্বাচিত মহড়ার এলাকা ও স্কেল স্বাভাবিকের তুলনায় ব্যতিক্রমী এবং আকাশসীমার সংরক্ষণ সর্বোচ্চ ২৮,০০০ ফুট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য ভারতের সেনাবাহিনীর ত্রিবাহিনী সমন্বয়, আত্মনির্ভরতা (Atmanirbharta) ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করা। এই তিনটি স্তম্ভই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির JAI ভিশন-এর অংশ।
যৌথ অপারেশন
দক্ষিণ কমান্ডের সৈন্যরা মহড়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে। মহড়ায় পরীক্ষা করা হবে বিভিন্ন ভূ-প্রকৃতির অভিযানে যৌথ অপারেশন, যেখানে থাকবে অ্যাফেন্সিভ মানুভার, খাদের ও মরুভূমি অভিযান, সৌরাষ্ট্র উপকূলে অ্যাম্ফিবিয়াস অপারেশন, পাশাপাশি ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স ও রিকনেসাঁস (ISR), ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার (EW) ও সাইবার সক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত।
মহড়ায় দেশীয় প্রযুক্তি ও অস্ত্র ব্যবস্থার কার্যকর ব্যবহার, অপারেশনাল কৌশলে আত্মনির্ভরতার প্রয়োগ এবং সামরিক কৌশল, প্রযুক্তি ও পদ্ধতি উন্নয়নের দিকে জোর দেওয়া হবে, যা ভবিষ্যতের যুদ্ধের চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে India Issues NOTAM Alert
এর আগে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং রাজস্থানের জয়সলমের-এ বারাখানা অনুষ্ঠানে সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বলেছেন, মে মাসে পরিচালিত অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে। তিনি বলেন, “পাকিস্তান এখন আর ভারতকে লক্ষ্য করে কোনও দুষ্টপ্রয়াস করতে ভাববে না।”
অপারেশন সিন্দূরের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনী সঠিক নিশানায় বিমান হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী অবকাঠামোকে লক্ষ্য করেছিল। চার দিনের তীব্র সামরিক উত্তেজনায় ১০০-এরও বেশি সন্ত্রাসী নির্মূল হয়।
ভারতীয় নৌবাহিনীর পেশাদার সক্ষমতা
নৌবাহিনী কমান্ডারস কনফারেন্সে রাজনাথ সিং আরও বলেন, ভারতীয় নৌবাহিনী এমন একটি প্রতিরোধী অবস্থান তৈরি করেছে যা পাকিস্তানকে তাদের ঘাট বা উপকূলে সীমাবদ্ধ রেখেছে। বিশ্ব লক্ষ্য করেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর পেশাদার সক্ষমতা ও প্রস্তুতিত্ব।
মন্ত্রীর মন্তব্যে আরও উঠে আসে, প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার সামরিক আত্মনির্ভরতা, দেশীয় উদ্ভাবন এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, যা ভারতের নিরাপত্তা ও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রমাণ বহন করে।


