450 মিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে ভারত থেকে ব্রহ্মোস কিনবে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ

BrahMos: বহু মিলিয়ন ডলারের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি চূড়ান্ত করতে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া একসঙ্গে কাজ করছে। এই চুক্তি এমন এক সময়ে আলোচনা করা হচ্ছে যখন ইন্দোনেশিয়ার…

Brahmos

short-samachar

BrahMos: বহু মিলিয়ন ডলারের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি চূড়ান্ত করতে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া একসঙ্গে কাজ করছে। এই চুক্তি এমন এক সময়ে আলোচনা করা হচ্ছে যখন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ন্তো ভারত সফরে আসছেন। ভারতীয় নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠীর সাম্প্রতিক ইন্দোনেশিয়া সফরের সময় এই চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র তার গতি এবং নির্ভুলতার জন্য পরিচিত। এই ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়ার উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে (BrahMos missile deal)।

   

সূত্রের বরাত দিয়ে উইওন তার প্রতিবেদনে বলেছে যে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভারতীয় পক্ষকে 450 মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্রহ্মোস চুক্তির বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। ভারত এই চুক্তির জন্য SBI বা অন্য কোনও জাতীয় ব্যাঙ্ক থেকে ইন্দোনেশিয়াকে ঋণের প্রস্তাব দিচ্ছে, এ নিয়েও কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে প্রবোও সুবিয়ান্তোর ভারত সফরের সময় চুক্তিটি ঘোষণা করা হতে পারে। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হবে ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে, ইন্দোনেশিয়া হবে ফিলিপাইনের পর দ্বিতীয় এশিয়ান দেশ যারা ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় করবে। ভারত 2022 সালের জানুয়ারিতে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের উপকূল-বিরোধী সংস্করণের তিনটি ব্যাটারি সরবরাহের জন্য ফিলিপাইনের সাথে $ 375 মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এটি ছিল ভারতের প্রথম বড় প্রতিরক্ষা রফতানি চুক্তি। ভারত এবং ভিয়েতনাম ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য $700 মিলিয়ন চুক্তি চূড়ান্ত করার কাছাকাছি এখন ইন্দোনেশিয়ার সাথে চুক্তি ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলবে৷

ব্রাহ্মোস প্রকল্পটি 1998 সালে চালু হয়েছিল। ব্রহ্মোস একটি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল, ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে তৈরি করেছে। এটি বিশ্বের দ্রুততম ক্রুজ মিসাইল। এটি স্থল, সমুদ্র এবং আকাশ থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে। এটি 290 কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির চেয়েও দ্রুত গতিতে চলে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় 2,900 কিলোমিটার। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো দেশের সেনাবাহিনীর জন্য এটি একটি কার্যকর অস্ত্র।