২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিদেশী স্যাটেলাইট লঞ্চ করে ভারত ১৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) জিতেন্দ্র সিং লোকসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি মহাকাশ খাতের দেখাশোনা করেন।
লোকসভায় লিখিত জবাবে মন্ত্রক জানিয়েছে যে ২০১৫-র জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের ২০২৪ পর্যন্ত গত ১০ বছরে লঞ্চ করা হয়েছে ৩৯৩ টি বিদেশী স্যাটেলাইট এবং ৩টি ভারতীয় গ্রাহক স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটগুলি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ISRO-র PSLV এবং SSLV লঞ্চ ভেহিকেলে উৎক্ষেপণ করা হয়।
২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ভারত ৩৪ টি দেশের স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে উন্নত দেশের স্যাটেলাইটও। ৩৯৩ টি স্যাটেলাইটের মধ্যে ২৩২টি আমেরিকার, ৮৩টি যুক্তরাজ্যের, ১৯টি সিঙ্গাপুরের, ৮টি কানাডার, ৫টে কোরিয়ার, লুক্সেম্বার্গের ৪টে, ইতালির ৪টে, ৩টি জার্মানির, ৩টি বেলজিয়ামের, ৩টি ফিনল্যান্ডের, ফ্রান্সের ৩টি, ২টি সুইজারল্যান্ডের, ২টো নেদারল্যান্ডসের, ২ট জাপান, ২টো ইজরায়েল, ২টো স্পেন, ১টি অস্ট্রেলিয়ার, ১টি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ১টি স্যাটেলাইট অস্ট্রিয়ার।
বর্তমানে, ৬১টি দেশ এবং পাঁচটি বহুপাক্ষিক সংস্থার সাথে মহাকাশ সহযোগিতামূলক নথি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সহযোগিতার প্রধান ক্ষেত্রগুলি হল স্যাটেলাইট রিমোট সেন্সিং, স্যাটেলাইট নেভিগেশন, স্যাটেলাইট যোগাযোগ, মহাকাশ বিজ্ঞান এবং গ্রহ অনুসন্ধান এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি। এই তথ্য মন্ত্রী লোকসভায় একটি পৃথক উত্তরে বলেছেন।
পরপর সফল মিশনের ফলে ভারত এখন একটি বৃহৎ মহাকাশ শক্তির পরিচয় অর্জন করেছে। ২০২৩ সালে চন্দ্রযান-৩ এর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট অবতরণ এবং ভারতের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য-এল১ এর সাফল্য, ভারতকে অসাধারণ দক্ষতার প্রদর্শনে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ভারত এবার তৈরি হচ্ছে গগনযান মিশনের জন্য যা এই বছর লঞ্চ হওয়ার কথা রয়েছে।