Rafale M India: ফ্রান্সের পরমাণু শক্তি চালিত বিমানবাহী রণতরী চার্লস ডি গল (Aircraft Carrier Charles de Gaulle) সমগ্র ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ নিয়ে ভারতে আসছে। এই যুদ্ধজাহাজগুলিকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মোতায়েন করা হবে “Clemenceau 25” মিশনের অধীনে। এটিকে ফরাসি নৌবাহিনীর একটি উচ্চাভিলাষী অভিযান হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে, যা জার্মানির সাম্প্রতিক মোতায়েনের পর শুরু হতে চলেছে৷ এই সময়ের মধ্যে, ফরাসি নৌবাহিনীর এই বিমানবাহী জাহাজটি ভারতীয় নৌবাহিনীর সাথে যৌথ মহড়াও চালাবে। চার্লস ডি গল রাফাল-এম ফাইটার প্লেন দিয়ে সজ্জিত, যেটি ভারত কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমতাবস্থায়, এই বিমানগুলি কৌশলের সময় তাদের শক্তি প্রদর্শন করবে।
এই বিমানবাহী জাহাজটি ফরাসি নৌবাহিনীর মেরুদণ্ড
পারমাণবিক শক্তি চালিত বিমানবাহী রণতরী হিসেবে, চার্লস ডি গল ফরাসি নৌবাহিনীর শক্তির ভিত্তি। এটি ফ্রান্সের হোম পোর্ট থেকে দূরে সামরিক অভিযানে সহায়তা করতে সক্ষম। এই স্থাপনা নিছক প্রতীকী নয়, বরং ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে ফ্রান্সের অবস্থানকে শক্তিশালী করার একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ। ফ্রান্সের এই টাস্কফোর্স ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগর হয়ে ভারত মহাসাগরে যাবে। তবে সিরিয়া ও পশ্চিম এশিয়ায় চলমান অস্থিতিশীলতার কারণে এসব এলাকায় সম্ভাব্য বিলম্ব হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
চার্লস ডি গল জাপান ও ফিলিপাইনও সফর করবে
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই মিশনে ফিলিপাইন এবং জাপানে চার্লস ডি গলের প্রথম বন্দর পরিদর্শন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার ফ্রান্সের অভিপ্রায় হিসেবে এটিকে দেখা হচ্ছে। চার্লস ডি গল পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে একটি ওভারহল সহ্য করার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফরাসি বিমানবাহী জাহাজের এই সফরকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
Clemenceau 25 টাস্ক ফোর্সে কারা অন্তর্ভুক্ত?
Clemenceau 25 Carrier Strike Group এ একাধিক উন্নত যুদ্ধজাহাজ, বহু-ডোমেন অপারেশনের জন্য ডিজাইন করা সাবমেরিন নিয়ে গঠিত। চার্লস ডি গলের সাথে, এই দলটিতে একটি বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষম ডেস্ট্রয়ার, একটি অ্যান্টি-সাবমেরিন ফ্রিগেট, একটি পারমাণবিক আক্রমণ সাবমেরিন, একটি লজিস্টিক জাহাজ এবং অফশোর সাপোর্ট ভেসেল রয়েছে। এয়ার ক্রুদের মধ্যে প্রাথমিক সতর্কতার জন্য দুটি Hawkeye AEW বিমান, 24টি Rafale M ফাইটার জেট এবং স্ট্রাইক এবং এয়ার শ্রেষ্ঠত্ব মিশনের জন্য চারটি হেলিকপ্টার রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার কর্মী মোতায়েন করা হবে।
ফ্রান্স কোন দেশের সাথে অনুশীলন করবে?
মোতায়েনটি আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে আন্তঃকার্যক্ষমতা জোরদার করার জন্য ফ্রান্সের প্রচেষ্টার অংশ। ভারতীয় নৌবাহিনীর সাথে বার্ষিক বরুণ অনুশীলন এই সময়ের মধ্যে একটি প্রধান মিশন হবে, যা যৌথ অভিযান এবং কৌশলগত সমন্বয়ের উপর ফোকাস করবে। উপরন্তু ফরাসি নৌবাহিনী অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া সহ অন্যান্য দেশের সাথে সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করছে। এই মহড়াগুলির লক্ষ্য হল লম্বক, সুন্দা এবং মালাক্কা প্রণালীর মতো গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক চোকপয়েন্টগুলি সুরক্ষিত করা, যা বিশ্ব বাণিজ্য এবং শক্তি নিরাপত্তার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ৷