অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতীয়দের ওদেশে যেতে সতর্কতা জারি বিদেশমন্ত্রকের

বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রতিদিনই জটিল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্রমশই তীব্রতর হচ্ছে জন আন্দোলন। সরকারের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ১০০ জনের মতো আন্দোলনকারী।…

Indian Advisory on Bangladesh ongoing situation

বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রতিদিনই জটিল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্রমশই তীব্রতর হচ্ছে জন আন্দোলন। সরকারের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ১০০ জনের মতো আন্দোলনকারী। রবিবার গোটা দেশেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য কার্ফু জারি করেছে হাসিনা সরকার। তারমধ্যেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল মানুষ। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের প্রতিটি শহরে মোতায়েন করেছে সেনা। এমন অবস্থায় ভারতীয়দের বাংলাদেশে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি সেদেশে থাকা ভারতীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

 

   

প্রয়োজনে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বাংলদেশে থাকা ভারতীয়য়দের। ওই নির্দেশিকাতে হাই কমিশনের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। 

এই মূহুর্তে বাংলাদেশে হাই কমিশন ও ডেপুটি হাই কমিশন মিলে ভারতের মোট ছয়টি দূতাবাস রয়েছে। প্রতিটি দূতাবাসের সঙ্গেই ভারতীয়দের যোগাযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যুতে তৈরি হওয়া বাংলাদেশের পড়ুয়াদের আন্দোলন এখন সরকার বিরোধী গণবিক্ষোভে পরিণত। তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশে। ওই আন্দোলনে জামাত আরও ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে দাবি করেছে সেখ হাসিনা সরকার। সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষে ইতিমধ্যে মারা গিয়েছে বহু পড়ুয়া। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রবিবার থেকেই অনির্দিষ্টকালীন কারফিউ জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে আগামী তিনদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

সেনাপ্রধানসহ তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত দীর্ঘ বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বার্তা দেন। এরপরেই পড়ুয়াদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের তরফে ঢাকা অভিমুখে লং মার্চের আহ্বান জানানো হয়েছে।