নয়াদিল্লি, ৩ অক্টোবর: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে (India Politics)মরিতানিয়া, লাক্সেমবার্গ, কানাডা এবং স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূতদের স্বাক্ষরপত্র গ্রহণ করেছেন। এই অনুষ্ঠানটি ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা চারটি দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর করার সংকেত বহন করে।
রাষ্ট্রপতি মুর্মু এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রত্যেক রাষ্ট্রদূতের সাথে সৌজন্যমূলক কথোপকথন করেছেন। এই কথপোকথনে অর্থনীতি, বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই ঘটনা ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ এবং ‘গ্লোবাল সাউথ’ নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা বিভিন্ন মহাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করছে।
পুজোর পরেই জনসংযোগে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল, ছাব্বিশের লড়াইয়ে প্রস্তুতি শুরু
অনুষ্ঠানে প্রথমে মরিতানিয়ার রাষ্ট্রদূত হোমা মেহদি তাঁর স্বাক্ষরপত্র প্রদান করেন। মরিতানিয়া, আফ্রিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ, যার সাথে ভারতের ঐতিহাসিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্রপতি মুর্মু তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেন, “আফ্রিকা-ভারত সহযোগিতা আমাদের উভয় দেশের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।”
মরিতানিয়ার সাথে ভারতের বাণিজ্য ২০২৪ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, বিশেষ করে খনিজ, মৎস্য এবং কৃষি খাতে। দ্বিতীয়ত, লাক্সেমবার্গের রাষ্ট্রদূত জ্যান-লুক ওয়াইলার তাঁর ক্রেডেনশিয়ালস জমা দেন। ইউরোপের এই ছোট রাজ্যটি আর্থিক খাতে বিশ্ববিখ্যাত, এবং ভারতের সাথে ফিনটেক, ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড এবং গ্রিন ফাইন্যান্সে সহযোগিতা বাড়ছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, “লাক্সেমবার্গের অভিজ্ঞতা আমাদের ডিজিটাল ইকোনমিকে সহায়ক হবে।”
তৃতীয় রাষ্ট্রদূত হলেন কানাডার হাই কমিশনার ক্যামিলা চেস্টনাট, যিনি কমনওয়েলথের সদস্য দেশ হিসেবে ভারতের সাথে বিশেষ সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করেন। কানাডা এবং ভারতের মধ্যে শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং ডায়াসপোরা খাতে শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে। গত বছর দুই দেশের বাণিজ্য ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যদিও কিছু রাজনৈতিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও এই অনুষ্ঠানটি সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিতের সংকেত। রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “কানাডার ভারতীয় সম্প্রদায় আমাদের সেতুবন্ধন।”
জুবিন গর্গ হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শ্যামকানুর চ্যালেঞ্জ, তদন্তে নয়া মোড়
শেষে, স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেভিড র্কেজ তাঁর স্বাক্ষরপত্র প্রদান করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এই দেশটির সাথে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল, টেক্সটাইল এবং পর্যটন খাতে সম্ভাবনা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, “স্লোভেনিয়ার সবুজ প্রযুক্তি আমাদের টেকসই উন্নয়নে সাহায্য করবে।”