লাহোরে পাল্টা হামলা ভারতের, পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব

পাকিস্তানের একাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ভারত (india) পাকিস্তানের লাহোরে ফের পাল্টা হামলা চালিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীরে সকল জঙ্গিকে সেনা…

india attacks Lahore again

পাকিস্তানের একাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ভারত (india) পাকিস্তানের লাহোরে ফের পাল্টা হামলা চালিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীরে সকল জঙ্গিকে সেনা ঘাঁটিতে হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি সক্রিয় করেছে। আনন্তনাগের খুন্দ্রুতে অস্ত্রাগারের কাছে ছয়টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি এডব্লিউএসিএস (এয়ারবর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম) পাঞ্জাব প্রদেশে ভূপাতিত হয়েছে। ভারতের এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পোখরানে পাকিস্তানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করেছে। এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

   

লাহোরে ভারতের পাল্টা হামলা (india)

পাকিস্তান ৭-৮ মে রাতে জম্মু, শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, জয়সলমের, পোখরানসহ ভারতের (india) ১৫টি শহরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। ভারতের এস-৪০০ ‘সুদর্শন চক্র’ এবং ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এই হামলা প্রতিহত করে।

প্রতিক্রিয়ায়, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৮ মে সকালে লাহোরে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলা পাকিস্তানের আক্রমণের সমান তীব্রতায় এবং একই ক্ষেত্রে পরিচালিত হয়েছে। হামলার ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে, যা পাকিস্তানের আক্রমণের প্রমাণ বহন করে।

ভারতীয় ডিফেন্স সিস্টেম জয়সলমেরে পাকিস্তানের ৭০টির বেশি মিসাইল ধ্বংস করল

জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের আইএসআই জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি সক্রিয় করেছে। জঙ্গিদের ভারতীয় সেনা ঘাঁটি এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আনন্তনাগের খুন্দ্রুতে অস্ত্রাগারের কাছে ছয়টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যা জঙ্গিদের হামলার অংশ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে (india)। এই বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

পাকিস্তানের এডব্লিউএসিএস ভূপাতিত

পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি এডব্লিউএসিএস বিমান পাঞ্জাব প্রদেশে ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ভূপাতিত হয়েছে। এই বিমান পাকিস্তানের গোয়েন্দা এবং হামলার পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ঘটনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে সূত্র জানায়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার একটি বড় সাফল্য।

পোখরানে এস-৪০০-এর সাফল্য

রাজস্থানের পোখরানে ভারতের এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করেছে। এস-৪০০, যা রাশিয়ার তৈরি ‘সুদর্শন চক্র’ নামে পরিচিত, ৬০০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্য সনাক্ত করতে এবং ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে তা ধ্বংস করতে সক্ষম। এই ঘটনা ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তি প্রদর্শন করেছে।

অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপট

এই ঘটনাগুলো ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটেছে। ৭ মে ভোরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় (india)। এই অভিযান ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত হয়, যেখানে ২৬ জন নিহত হয়। অপারেশনে জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। পাকিস্তান এই হামলাকে “যুদ্ধের কাজ” বলে অভিহিত করে এবং পাল্টা হামলার চেষ্টা করে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জনজীবন

জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব (india) এবং রাজস্থানে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড়সহ একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। ব্ল্যাকআউট এবং মোবাইল পরিষেবা বন্ধের কারণে জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারতের ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৫৯ জন আহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য এবং জাতিসংঘ উভয় দেশকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংঘাতকে “দুঃখজনক” বলে অভিহিত করেছেন। লাহোরে মার্কিন কনস্যুলেট তাদের কর্মীদের নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

লাহোরে ভারতের (india) পাল্টা হামলা এবং পাকিস্তানের এডব্লিউএসিএস ভূপাতিত হওয়া ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার শক্তি প্রদর্শন করে। তবে, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং আইএসআই-এর ষড়যন্ত্র পরিস্থিতিকে জটিল করেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ এবং উভয় দেশের সংযম অত্যন্ত জরুরি।

Advertisements