লোকসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসনে জয়ের পর সংসদের বাদল অধিবেশনে কংগ্রেস (Congress)নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বিরোধী দলনেতা হিসেবে কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র অন্য শরিক দলগুলিও তাঁকে নেতৃত্বের আসনে মেনে নিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক বিধানসভা ও উপনির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটে কিছুটা টানাপোড়েন তৈরি করেছে।
কলকাতায় বিধ্বংসী আগুনে অগ্নিদগ্ধ যুবক, বিলম্ব দমকল-কাউন্সিলর
বিশেষত, হরিয়ানায় কংগ্রেসের পরাজয় এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভা ও উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই দূরত্ব আগামী সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কংগ্রেসের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয়কে দুর্বল করতে পারে। কিছু শরিক দল কংগ্রেসের নির্বাচনী ফলাফলে হতাশ হয়েছে এবং মনে করছে যে জোটের মধ্যে আরও কার্যকর নেতৃত্বের প্রয়োজন। বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলি মনে করছে যে কংগ্রেসের নির্ভরযোগ্যতা এবং সক্ষমতা যাচাই না করেই তাঁরা যদি একক নেতৃত্ব মেনে চলেন, তবে তাঁদের নিজস্ব প্রভাবও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, জানাল রেল
ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক দলগুলির নেতারা আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে একত্রে কাজ করার জন্য নতুন কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
তবে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব এখনও জোটের মূল ভিত্তি বলে অনেকেই মনে করেন, তাই সরাসরি বিরোধিতা আসবে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জোটের একাধিক নেতার প্রস্তাব অনুসারে শীতকালীন অধিবেশনে কংগ্রেসকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হতে পারে, যাতে শরিকদের আস্থা পুনঃস্থাপিত হয়।
আধার কার্ড নিয়ে বড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের
শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধী দলগুলির ঐক্য কংগ্রেসের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে। নির্বাচনী ফলাফল বিবেচনা করে কংগ্রেস কৌশলগত পরিবর্তন আনতে পারে এবং এক্ষেত্রে শরিকদের চাহিদা অনুযায়ী সমন্বয় তৈরির প্রচেষ্টা চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।