-৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রচণ্ড শক্তিতে গর্জে উঠল ভারতীয় সেনার কামান

India-China News: ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পথে। বর্তমানে এলএসিতে শান্তি রয়েছে। এদিকে লাদাখে ফের অশান্তি বেড়েছে। ভারতীয় কামান প্রচণ্ড শক্তিতে গর্জে উঠল। তবে…

Indian Army artillery gun

India-China News: ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পথে। বর্তমানে এলএসিতে শান্তি রয়েছে। এদিকে লাদাখে ফের অশান্তি বেড়েছে। ভারতীয় কামান প্রচণ্ড শক্তিতে গর্জে উঠল। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি মহড়া (Indian Army Exercise)। এই মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি পরীক্ষা করা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বোফর্স বন্দুক একের পর এক সুনির্দিষ্ট নিশানা অনুশীলন করছিল।

মাইনাস ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় যুদ্ধে জয়ী হতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে সেনাবাহিনী। দিনরাত এক লাইনে মোতায়েন বোফর্স একের পর এক নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে থাকে। শীতে লাদাখ যখন ভূতের শহরে পরিণত হয়, তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে আসে, মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নেমে আসে। তখন সেখানে সেনাবাহিনী ছাড়া আর কাউকে দেখা যায় না। প্রতি মৌসুমেই সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করে থাকে। এটি উচ্চ উচ্চতা অঞ্চলে যুদ্ধ এবং যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতিকে তীক্ষ্ণ করে চলেছে। এই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস (Indian Army Fire and Fury Corps) 14500 ফুট উচ্চতায় ‘হিম শক্তি’ নামে একটি সামরিক মহড়া চালায়।

   

Indian Army

চিনা পিএলএ নিশ্চয়ই হুমকি শুনেছে
লাদাখের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সেনাবাহিনীর কামান বিকট শব্দে গর্জন করে। তবে এই নিয়ে চিনের কোনো আপত্তি নেই। কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনারা তাদের সীমার মধ্যেই এই অনুশীলন করছিল। কিন্তু কামানের গর্জন এত শক্তিশালী ছিল যে এমনকি চিনা পিএলএও তা শুনতে পায়। কারণ চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) কেও ভারতীয় সেনাবাহিনী লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) দাঁড়াতে বাধ্য করেছিল। এই মহড়ায় বোফর্স বন্দুক থেকে একের পর এক নির্ভুল গুলি চালানো হয়। এর ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী নিজেই। মহড়ায় আর্টিলারি বন্দুকের দ্রুত মোতায়েন, কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ স্থাপন এবং অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিটি কোণে গুলি চালানো অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই অনুশীলনটি কেবল দিনের বেলায় নয়, রাতেও করা হয়েছিল।

অক্সিজেন কম কিন্তু উৎসাহ বেশি
উঁচু পাহাড়ের যুদ্ধে আর্টিলারি বন্দুকের চেয়ে ভালো অস্ত্র আর নেই। ভারতীয় সেনাবাহিনী পূর্ব লাদাখ এলাকায় তার সব ধরনের আর্টিলারি মোতায়েন করেছে। এখানে অক্সিজেন কম থাকলেও বন্দুকধারী ও বন্দুক উভয়েরই উৎসাহ বেশি। এই ঋতুতে, যখন মানুষ হিমায়িত হতে শুরু করে, একই অবস্থা ঘটে বড় বন্দুক এবং ট্যাঙ্কের। এই পরিবেশে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল বন্দুককে সব সময় গুলি চালানোর জন্য প্রস্তুত রাখা। নিম্ন তাপমাত্রার কারণে, ট্যাঙ্কের জ্বালানী এবং লুব্রিকেন্ট জমা হতে শুরু করে। তাই সময়ে সময়ে ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন ও মেশিন চালু করতে হয়। রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। শীতকালে টহল দেওয়ার জন্য সমস্ত ভূখণ্ডের যানও ভারতীয় সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দূরপাল্লার নজরদারি, সেনাবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহজেই পরিবহন করা যাবে। সীমান্ত বিরোধ নিরসনে ভারত ও চিনের মধ্যে আলোচনা চললেও চিনের স্বভাব সম্পর্কে সবাই অবগত। তাই প্রস্তুতিতে কোনো কমতি রাখতে চায় না সেনাবাহিনী।