আরও তীব্রতর হল ভারত-কানাডা সংঘাত ( India-Canada conflict)। পরস্পরের দেশে পরিচালিত সমস্ত কনস্যুলেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশের সরকার। যারফলে বড়সড় বিপাকে পড়তে চলেছে কানাডায় বসবাস করা ভারতীয়েরা। কারণ কনস্যুলার ক্যাম্পগুলি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করে থাকে, যেমন পাসপোর্ট নবীকরণ, ভিসা সংক্রান্ত সহায়তা, এবং অন্যান্য কনস্যুলার পরিষেবা।
মার্কিন ভোটে জিতলেন ছয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যাবেন কংগ্রেসে
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি গত কয়েক মাস ধরে একাধিক ইস্যুতে প্রকাশ্যে এসেছে। ভারত বিরোধী শিখ খালিস্তানি আন্দোলনের জেরে দীর্ঘদিন ধরেই ট্রুডো সরকারকে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে ভারত। যদিও তা কখনই কর্ণপাত করেনি কানাডা বরং উল্টে আরও ভারত-বিরোধী কার্যকলাপকে উৎসাহিত করে গিয়েছে।
অন্যদিকে, কানাডার দাবি, তাদের দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার এবং মুক্তির প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে, এবং কানাডার সরকার সেই নীতিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস আরও বেড়ে চলেছে। ভারতের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, কানাডা তাদের দেশের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করে কিছু ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের অনুমতি দিচ্ছে এবং সেই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কানাডা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার প্রয়াসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
অসংখ্য গাড়ি চালকের স্বস্তি, যানবাহন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ রায় শোনাল সুপ্রিম কোর্ট
এদিকে, কনস্যুলার ক্যাম্প বন্ধের সিদ্ধান্ত ভারতীয় প্রবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
এই সম্প্রদায়ের মানুষরা কানাডার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় নাগরিক যারা নিয়মিতভাবে কনস্যুলার পরিষেবার ওপর নির্ভর করেন। কনস্যুলার ক্যাম্পগুলি তাদের জন্য একটি সহজতর উপায় ছিল সেবা প্রাপ্তির জন্য, কারণ প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের পক্ষে হাই কমিশনে যাওয়া সবসময় সম্ভব হয় না। তাই, কনস্যুলার ক্যাম্প বন্ধ হয়ে গেলে ওই প্রবাসী ভারতীয়দের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও পরিষেবার জন্য অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে।
মার্কিন ভোটে জিতলেন ছয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যাবেন কংগ্রেসে
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট দ্রুত সমাধান না হলে ভারত ও কানাডার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। উভয় দেশই বাণিজ্যিক দিক থেকে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল এবং তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী থাকার ফলে তাদের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে তা দুই দেশের অর্থনীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক বিশ্লেষক মহল।