ত্রিপুরা-কান্ডে নতুন করে উত্তপ্ত ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক!

নয়াদিল্লি: বুধবার ত্রিপুরা (Tripura) সীমান্তে ৩ বাংলাদেশী পাচারকারীর (Bangladeshi Smuggler) মৃত্যুর ঘটনায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নতুন করে শুরু হল কূটনৈতিক চাপানউতোর। শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই ৩ বাংলাদেশী পাচারকারী ত্রিপুরার এক গ্রামবাসীকে হত্যা করেছেন।

Advertisements

অন্যদিকে, ওই জনের মৃত্যুর তাৎক্ষণিক, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্তের দাবী তুলেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। বাংলাদেশের অভিযোগকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ১৫ অক্টোবর ভারতীয় ভূখণ্ডের তিন কিলোমিটার ভেতরে, বিদ্যাবিল গ্রাম থেকে গরু চুরি করার চেষ্টা করেছিল ওই ৩ ‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী’।

স্থানীয়দের মুখোমুখি হওয়ায় তাঁরা গ্রামবাসীদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। ঘটনায় একজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। বাকিরা প্রাণভয়ে পালাতে বাধ্য হন। এরপর খবর পেয়ে আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন ওই ৩ জন ‘অনুপ্রবেশকারী’র মধ্যে দুজন মারা গিয়েছেন। তৃতীয় জনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরের দিন সে মারা যায়। ইতিমধ্যেই ওই ৩ জনের দেহ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Advertisements

বাংলাদেশের অভিযোগ

অন্যদিকে, শুক্রবার সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ঘটনাটিকে “জঘন্য,” “অগ্রহণযোগ্য” এবং “মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন” বলে উল্লেখ করে। সেইসঙ্গে, এই হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে অতি সত্বর যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানায় বাংলাদেশ। ঢাকার তরফে বলা হয়, “জাতীয়তা নির্বিশেষে বিশ্বের সকল মানুষ সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী। সে তাঁরা সীমান্তের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন।”