যুদ্ধের মাঠে ভারতের গেম চেঞ্জার ‘ম্যাঙ্গো’, চিনকে শায়েস্তায় মরিয়া মোদী

যেকোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ট্যাঙ্ক। যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি নিজের বশে আনতে আর শক্রপক্ষকে ঘায়েল করতে ট্যাঙ্কের জুড়ি মেলা ভার। অতীতে বিশ্ব যুদ্ধ হোক…

Mango tank battle Indian Army

যেকোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ট্যাঙ্ক। যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি নিজের বশে আনতে আর শক্রপক্ষকে ঘায়েল করতে ট্যাঙ্কের জুড়ি মেলা ভার। অতীতে বিশ্ব যুদ্ধ হোক কিংবা সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে। সর্বত্রই ট্যাঙ্কের দাপট নজরে এসেছে গোটা বিশ্বের।

বিশ্বযুদ্ধের সময় কুরক্সের যুদ্ধকেই বলা হয় ইতিহাসের দীর্ঘতম ট্যাঙ্কের লড়াই। এই লড়াইয়ে হিটলারের জার্মানকে পর্যদুস্ত করেছিল রাশিয়া। ১৯৫৬ সালের হাঙ্গেরিয়ান ক্রাইসিস, বুদাপেস্টের রাস্তায় সোভিয়েতের সাঁজোয়া গাড়ির মিছিল। একাত্তরে খান সেনার ট্যাঙ্কের ওপর উঠে মুক্তিবাহিনীর জয়োল্লাস। বা এই হাল আমলে ইউক্রেনে। গাজার মাটিতে রুশ আর ইজরায়েলি ট্যাঙ্কের আগ্রাসন।

   

শুভেন্দু-দিলীপ নয়, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে বিরাট চমক, জানলেই চমকাবেন

ইজরায়েল-গাজা সংঘাতে ট্যাঙ্কের জেরেই হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহু। বিশেষ করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ম্যাঙ্গো ট্যাঙ্ক তাক লাগিয়েছে গোটা দুনিয়াকে। এবার সেই ট্যাঙ্ক হাতে আসতে চলেছে ভারতের। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ প্রচেষ্টায় শুরু হবে ম্যাঙ্গো ট্যাঙ্কের নির্মাণ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সদ্য শেষ হওয়া রাশিয়া সফরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রোস্টেক জানিয়েছে ভারতের কারখানায়, ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে তারা তৈরি করবে ম্যাঙ্গো। ম্যাঙ্গো হল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী কামানের গোলা যা ট্যাঙ্ক থেকে ছোঁড়া যায়। এই ট্যাঙ্ক ভারতের হাতে চিন্তা বাড়বে দুই প্রতিবেশী দেশের।

২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’, ঘোষণা অমিত শাহের, কী কৌশল বিজেপির?

বিগত কয়েকবছর ধরেই প্রতিরক্ষা সামগ্রী নির্মাণে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। সামরিক ক্ষেত্রে বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে স্বদেশেই অস্ত্র নির্মাণে জোর দিয়েছে ভারত সরকার। তারফলে আমদানি খাতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় করা যাবে বলেই মত কূটনৈতিক মহলের।

মোদী-পুতিন আলিঙ্গন দেখেই চটে লাল প্রেসিডেন্ট বাইডেন! হুমকি নয়াদিল্লিকে

বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারত সীমান্তে ও ভারত মহাসাগরে নিজেদের আধিপত্য বাড়ানোর অনবরত চেষ্টা করে চলেছে চিন। সেই সঙ্গে চিরাচরিত ভাবে কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চলেছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। ২০১৯ এ বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক ও ২০২০ সালে গালোয়ানে চিনের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘাত, দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে নয়াদিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে তলানিতে নিয়ে গিয়েছে। বর্তমানে দেশের সীমান্ত পরিস্থিতিও যথেষ্ট উত্তপ্ত। এমন অবস্থায় ভারতের এই নতুন ট্যাঙ্কের সংযুক্তি নিঃসন্দেহে চিন্তায় ফেলবে এই দুই প্রতিবেশীকে। এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।