ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) শনিবার আয়কর বিভাগের (Income Tax) একটি বড় ধরনের তল্লাশি অভিযান (raid) শুরু হয়েছে, যার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) সহকারীর (assistant) বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। সরকারী সূত্র অনুযায়ী, এটি একটি কর ফাঁকির তদন্তে, রাজ্যের রাজধানী রাঁচি এবং জামশেদপুরসহ মোট ৯টি স্থানে অভিজান চলছে। অভিযানের সময় সিআরপিএফের একটি দল আয়কর কর্তাদের সহায়তা প্রদান করছে।
তল্লাশি অভিযানের কেন্দ্রে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সহকারী সুনীল শ্রীবাস্তব, যাঁর সাথে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু স্থানে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। এই অভিযানটি এমন সময়ে হচ্ছে, যখন রাজ্যে অবৈধ মদ ব্যবসা এবং খনির বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) বিভিন্ন তদন্ত শুরু করেছে।
রাজ্য সরকার এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এই তল্লাশিকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখছেন। ঝাড়খণ্ডে আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এবং ভোট গণনা ২৩ নভেম্বর হবে।
কংগ্রেস নেতারা এই তল্লাশির নিন্দা করেছেন এবং দাবি করেছেন যে এটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা রাকেশ সিনহা অভিযোগ করেছেন, “এটি ঝাড়খণ্ডের জন্য নতুন কিছু নয়। রাজ্যের বিরোধী নেতাদের এবং তাদের কর্মীদের বাড়িতে প্রায়ই আইটি অভিযান চালানো হয়। নির্বাচনের আগে আইটি এবং ইডি অভিযানের মাধ্যমে বিজেপি নিজের অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।”
অপরদিকে, বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল শাহদেও বলেছেন, “আইটি বিভাগের অফিসিয়ালরা বের হওয়া পর্যন্ত তাদের উচিত অপেক্ষা করা। রাজ্যের শাসক দল কেন এই তল্লাশিকে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত করছে, আমি জানি না।”
এই তল্লাশি অভিযান এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, যখন রাজ্যে নির্বাচনের আগে এমন তদন্ত শুরু হয়েছে, তখন বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে যে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বিজেপির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির জন্য এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।