ধসাতঙ্কে পদ্ম শিবির। শতশত বিজেপি সমর্থকের যোগদান (CPIM) সিপিআইএমে। একেবারে হুড়মুড়িয়ে ধস নেমে গেল বিজেপিতে। লাল পতাকা মোড়া সমাবেশ থেকে দলত্যাগীরা বলেছেন- আর নয় জয় শ্রী রাম এখন দরকার বাম।
বিজেপি শাসনেই শাসকদল ছেড়ে বিরোধীপক্ষ সিপিআইএমে যোগদান ঘিরে চাঞ্চল্য ত্রিপুরায়। এ রাজ্যে ২০১৮ সালে টানা পঁচিশ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের পতন হয়। এরপর দুবার ক্ষমতা ধরে রেখেছে বিজেপি।
সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি জানিয়েছে, কৈলাসহরে বিজেপি ছেড়েছেন ১৪০ জন। তারা সিপিআইএমের সমর্থনে কাজ করার ঘোষণা দিয়ে হাতে তুলে নেন লাল পতাকা।
বিরোধী দলনেতা ও সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন বিজেপি সরকার সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে।আর এস এসের উগ্র হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। দেশের মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করেছেন।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআইএম শীর্ষ নেতা মানিক সরকার বলেছেন, দেশজুড়ে মোদী সরকারের বিরোধীরা একজোট হচ্ছেন। রাজ্যবাসীকে পুনরায় বাম শাসন ফিরিয়ে আনার বার্তা দেন তিনি।
পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি টালমাটাল। শরিকদল ত্রিপা মথার সঙ্গে সংঘাত চলছে বিজেপির। রাজের পাহাড়ি এলাকা তথা উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় পূর্বতন শাসকদল সিপিআইএম তাদের সংগঠন উপজাতি গণমুক্তি পরিষদ সংগঠনকে ফের সংঘটিত করছে। বিরোধী দলের এই পদক্ষেপে উপজাতি এলাকায় কমপক্ষে দশটি আসন ছাড়তে রাজি বিজেপি বলে জানা যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার দাবি, রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের উন্নয়ন চলছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেছেন রাজ্যে অনাহারে মৃত্যুর হার বলে দিচ্ছে উন্নয়ন কেমন চলছে।