মোবাইলে পর্ন দেখে নাবালিকা বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কিশোর দাদার বিরুদ্ধে। আর সেই ঘৃণ্য অপরাধ ধামাচাপা দিতে প্রমাণ লোপাটে মদত দেয় অভিযুক্তের মা ও দুই দিদি। মধ্যপ্রদেশের রেওয়ারের এক পরিবাররের ঘটনাটিকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে। ইতিমধ্যে ১৩ বছরের অভিযুক্ত কিশোর সহ তাঁর দুই দিদি ও মা’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বিবেক সিংয়ের কথায়, গত ২৪ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশের বাড়ির উঠোনে উদ্ধার হয় সেই বাড়িরই ৯ বছরের মেয়ের দেহ। প্রাথমিকভাবে বাড়ির লোক জানায়, পোকার কামড়ে নাকি মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই নাবালিকার মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসে। জানা যায়, ধর্ষণ করে তাকে খুন করা হয়। এরপরই পুলিশ নড়েচড়ে বসে।
ঘটনাটির তদন্তে অন্তত ৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরই অভিযুক্ত কিশোর সহ পরিবারের বাকি তিন সদস্যকে আটক করে পুলিশ পুলিশ। টানা জেরার মুখে অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্তেরা। এরপরই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কিশোর সহ বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ নিয়ে বিস্ফোরক মমতা খুঁজছেন নয়া প্ল্যান?
পুলিশ জানিতে পেরেছে, ঘটনার দিন মোবাইলে নীল ছবি দেখছিল কিশোরটি। পাশেই ঘুমোচ্ছিল ৯ বছরের বোন। সেই সময়ই নীল ছবির অনুকরণ করতে গিয়ে বোনকে ধর্ষণ করে ওই কিশোর। নির্যাতিতা বাড়ির সকলে জানিয়ে দেওয়ার কথা বলতেই ভয়ে বোনকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে দাদা।
এরপর মাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে সব কথা খুলে বলে কিশোর। মা এসে দেখতে পান, নির্যাতিতা তখনও বেঁচে রয়েছে। এরপর ছেলেকে বাঁচাতে মেয়েকে টিপে খুন করেন মা। পরে ওই কিশোরের ১৭ ও ১৮ বছরের দুই দিদিও ঘটনাটি জানতে পারে। তাঁরাও খুনের পর মৃতদেহ লোপাট করতে করতে সাহায্য করে।
অভিযুক্তদের বার বার বয়ান বদলই পুলিশের সন্দেহ হয়। তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের শেষ পর্যন্ত নিজের অপরাধ স্বীকার করে কিশোর, তার মা ও দুই দিদি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।