বাংলাভাষীদের মধ্যে কেন প্রভাব নেই? বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এই প্রশ্নে বিদ্ধ হচ্ছেন নেতারা। সূত্রের খবর, দলটির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার উপর প্রবল চাপ তৈরি করেছেন মোদী ও শাহ। দিল্লির চাপ খেয়ে নাড্ডার বার্তা, আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে (Tripura Election 2023) ক্ষমতা ধরে রাখতেই হবে। আর পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত (West Bengal Panchayat Election) ভোটে দলীয় শক্তি দেখতেই হবে। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বলছে, দুই বাংলাভাষী রাজ্যেই বিজেপির হাল ভালো নয়।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দল বিজেপি। ত্রিপুরায় তাদের সরকার চলছে। দুটি রাজ্যেই দলীয় সংগঠনে বিরাট ধাক্কা লেগেছে বলেই বিজেপির অন্দরমহলের রিপোর্টে উঠে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে রাজ্য নেতারা মুখেই গরম গরম ভাষণ দিতে ভালোবাসেন। সংগঠনে হাঁড়ির হাল। সেই সুযোগে সিপিআইএম সহ বামপন্থী দলগুলি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বিরোধী ভোটে নিজেদের অবস্থান মজবুত করেছে গত পুরভোট থেকে। বাম শিবিরই রাজ্যে মূল বিরোধীপক্ষ সেই রিপোর্ট চলে গিয়েছে মোদী ও শাহর কাছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি যে তেমন কিছু করতে পারবে না তাও রিপোর্ট ধরে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
দলীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে ত্রিপুরার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সরকার ধরে রাখাই বিরাট চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এ রাজ্যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি না মেটানোর ক্ষোভ প্রবল। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি দলটি। এই অবস্থায় মোদীর পরপর জনসভা দলকে চাঙ্গা করতে পারে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই কমপক্ষে দশটি জনসভা করবেন মোদী।
বিজেপির কিছু সূত্রের ইঙ্গিত, ত্রিপুরা বা পশ্চিমবঙ্গ দুই রাজ্যের সক্রিয় কর্মী ও জনগণের সাথে যোগাযোগ খুবই কম রাজ্য নেতাদের। ত্রিপুরায় কঠিন লড়াই বলে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে স্বীকার করে নেন দলটির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা। তিনি বার্তা দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে আসন্ন মোট নটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয় নিশ্চিত করতে হবে।