Converts to Hinduism: মধ্যপ্রদেশের খন্ডবা জেলার ভামগড় মসজিদের ইমাম ইকবাল আলির ছেলে আলি মোস্তফা চিশ্তি সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি নিজের নতুন নাম রেখেছেন ‘মারুতি নন্দন কাশ্যপ’ এবং জানিয়েছেন, সনাতন ধর্মই তার জীবনের সঠিক পথ।
ধর্ম পরিবর্তনের কারণ ও প্রতিক্রিয়া
মারুতি নন্দন কাশ্যপ, আগে পরিচিত ছিলেন আলি মোস্তফা চিশ্তি নামে, জানিয়েছেন, “হিন্দু ধর্ম অত্যন্ত ভালো একটি ধর্ম। এটি মানবতার সঠিক শিক্ষা দেয়। আমি আমার বন্ধু ও অনুসারীদেরও হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে বলব। কারণ, আমাদের ডিএনএ ভগবান রাম এবং কৃষ্ণের সাথে মিল খুঁজে পায়।”
তিনি আরও বলেন, হিন্দু ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান এবং তার দর্শন তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। “সনাতন ধর্ম আমাকে আত্মপরিচয়ের সন্ধান এবং বিশ্বের কল্যাণের পথ দেখিয়েছে,” বলেছেন তিনি।
ধর্মান্তরিত হওয়ার পর আচার-অনুষ্ঠান
মারুতি নন্দন কাশ্যপ হিন্দু ধর্ম গ্রহণের পর মহাদেবগড় মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গে জলাভিষেক করেন। পাশাপাশি হনুমানজীর মূর্তির সামনে আরতি করেন এবং ভগবান রামের নাম স্মরণ করেন। তিনি তার নতুন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি প্রকাশ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
পরিবার ও সমাজের প্রতিক্রিয়া
এই ধর্মান্তরের ঘটনা তার পরিবার ও সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তার বাবা ইকবাল আলি, যিনি ভামগড় মসজিদের ইমাম, এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এলাকাবাসীর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে তার ব্যক্তিগত অধিকার বলে মেনে নিয়েছেন, আবার কিছু মানুষ এতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
ধর্মান্তরের প্রভাব
মারুতি নন্দন কাশ্যপ বলেন, “আমি মনে করি, আমাদের পূর্বপুরুষরা হিন্দু ছিলেন এবং এখন সেই পথেই ফিরে যাচ্ছি। হিন্দু ধর্মের মূলমন্ত্র ও শিক্ষাগুলি অত্যন্ত সুন্দর এবং মানবকল্যাণে সহায়ক। আমি আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে এই ধর্মের আদর্শ অনুসরণ করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমার এই সিদ্ধান্ত কাউকে আঘাত করার জন্য নয়। এটি আমার নিজস্ব আত্ম-অনুসন্ধানের ফল। আমি আশা করি, যারা আমাকে চেনেন, তারা এই ধর্মের সুন্দর দিকগুলো উপলব্ধি করবেন এবং নতুন করে ভাববেন।”
সমাজে উদাহরণ সৃষ্টি
মধ্যপ্রদেশের খন্ডবার এই ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এই ঘটনাকে ধর্মীয় স্বাধীনতার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে, কেউ কেউ বলছেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে।
মারুতি নন্দন কাশ্যপের এই সিদ্ধান্ত সনাতন ধর্মের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের প্রতিফলন। ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং আত্ম-অন্বেষণের এই উদাহরণটি আমাদের সবাইকে ভাবতে শেখায় যে, বিশ্বাসের পথ যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে যদি তা ব্যক্তি ও সমাজের জন্য কল্যাণকর হয়।