নয়াদিল্লি, ২৪ নভেম্বর: দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ফের তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রশাসকদের (DM) তত্ত্বাবধানে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে প্রথমে অস্থায়ী আটক কেন্দ্র বা টেম্পোরারি ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করতে হবে এবং পরে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।
এই নির্দেশিকা কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক এমন সময় এই বিষয়ে মুখ খুললেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম ড. ইমাম উমের আহমেদ ইলিয়াসি। তাঁর মন্তব্য রাজনীতির উত্তাপ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ড. ইলিয়াসি বলেন, “এটা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত।
হুমায়ূনের বাবরি মন্তব্যে প্রতিবেশী দেশের উস্কানি! বিস্ফোরক ইমাম প্রধান
তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর কাজ রাজ্যের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করা, থাকা বা অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইন আছে সরকার সেই আইন প্রয়োগ করছে মাত্র।” তিনি আরও বলেন, দেশে শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, ভারতের সর্বত্র অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করে কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত।
ইলিয়াসির বক্তব্য, “এই অনুপ্রবেশকারীরা দেশে থেকে বিভিন্ন সুবিধা নেয় এবং এর ফলে যারা প্রকৃত নাগরিক তাদের অধিকারও ক্ষুণ্ন হয়। এটা আমাদের ক্ষেত্রেও অন্যায়।” তাঁর মতে, ভারতীয় আইনের সামনে সবাই সমান তাই দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের পদক্ষেপ জরুরি। তিনি আরও বলেন অনুপ্রবেশকারীরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছে।
বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের রোহিঙ্গারা ভারতে এসে বেআইনি ভাবে বসবাস করছে এবং ভারতীয়দের অধিকার ক্ষুন্ন করছে। তাই এদের একমাত্র জায়গা হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প এবং তারপর নিজের দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আশংকা প্রকাশ করেছেন বারবার এই বলে যে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ভারতের ডেমোগ্রাফি পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে ক্রমশঃ। ভারতের সাধারণ নাগরিকরাও ইমাম প্রধানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
