জম্মু, ২১ অক্টোবর: জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন বেআইনি রোহিঙ্গা বসতিগুলির বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিল। সোমবার প্রশাসনের নির্দেশে জম্মুর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শিবিরে জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বহু বছর ধরে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জম্মুর একাধিক এলাকায় অবৈধভাবে বসতি গড়ে তুলেছেন। সরকারি অনুমতি ছাড়াই তারা ভুয়ো পরিচয়পত্র জোগাড় করে পানীয় জল, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা পেতে শুরু করেছিলেন। নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির রিপোর্টে এই শিবিরগুলিকে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
🚨 প্রশাসনের কড়া বার্তা
অফিসিয়াল সূত্র জানিয়েছে, বেআইনি শিবিরগুলিকে চিহ্নিত করে প্রথম পর্যায়ে মৌলিক পরিষেবা প্রত্যাহার করা হয়েছে। খুব শিগগিরই সমস্ত রোহিঙ্গাদের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হবে এবং যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশাসন আরও জানিয়েছে, কোনওভাবেই বেআইনি বসতি গড়ে তোলা বা সরকারি সুবিধা ব্যবহার করার অধিকার নেই। তাই অবিলম্বে এই পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
🛡️ নিরাপত্তা উদ্বেগ
গত কয়েক বছরে একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে, রোহিঙ্গা শিবিরগুলিকে জঙ্গি সংগঠনগুলি ব্যবহার করতে পারে। বেআইনি বসতির কারণে স্থানীয় জনসংখ্যার উপরও চাপ বাড়ছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয়রা বহুদিন ধরেই এই বসতিগুলির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ভুয়ো নথি ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা জমি দখল, অবৈধ ব্যবসা এবং সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন।
📢 রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
রাজনৈতিক মহলেও এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপি দাবি করেছে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি জরুরি সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, মানবিক দিকটি উপেক্ষা করে প্রশাসন শুধু কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা পরবর্তীতে আরও সামাজিক সমস্যা তৈরি করতে পারে।
🔎 পরবর্তী পদক্ষেপ
প্রশাসন স্পষ্ট করেছে, এটাই প্রথম ধাপ। বেআইনি রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে ধাপে ধাপে পুনর্বাসন বা প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে ততদিন পর্যন্ত কোনওভাবেই তারা সরকারি সুবিধা পাবেন না।