ট্রাম্প ফিরলে কমবে ‘নাক গলানো’র প্রবণতা, স্বস্তির আশায় দিন গুনছেন মোদী

হোয়াইট হাউসে ফের ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই মুহূর্তে সেই দেশের যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে জো বাইডেনের থেকে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।…

Modi trump

হোয়াইট হাউসে ফের ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই মুহূর্তে সেই দেশের যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে জো বাইডেনের থেকে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। আর এই সমীকরণে চললে আগামী ছ’মাসের মধ্যেই ওয়াশিংটনে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্প। কূটনৈতিক মহলের মতে, ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর ব্যক্তিগত রসায়ন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী সাউথ ব্লক। পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের আন্তর্জাতিক নীতি ভারতের পক্ষে সুবিধাজনক বলেও মনে করা হচ্ছে।

কড়া পদক্ষেপ UPSC-র, ট্রেনি IAS পূজার বিরুদ্ধে এফআইআর, খোয়াতে পারেন চাকরি

   

অতীতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। বাণিজ্য বিনিয়োগ থেকে সামরিক সহযোগিতা সব ক্ষেত্রেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ঘনিষ্টতা বেড়েছিল ট্রাম্প আমলেই।

২০২০ সালে সস্ত্রীক ট্রাম্পের ভারত সফরকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা দেয়। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে প্রাক্তণ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেখতে ভিড় জমান কয়েক লক্ষ ভারতীয়। আবার ২০১৯ সালে ম্যাসাচুসেটসের স্টেডিয়ামে ভরামঞ্চ থেকেই সেবার ট্রাম্পের সমর্থনে গলা তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও তা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি।

‘ফ্যাশন প্যারেড চলছে?’ নেকব্যান্ড ছাড়া আদালত কক্ষে ঢোকায় আইনজীবীকে ভর্ৎসনা প্রধান বিচারপতির!

তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী প্রথম বিদেশ সফরে যান রাশিয়া। গত ৮-৯ জুলাই দুন দিনের সফরে মস্কো যান তিনি। ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষিতে মোদীর রাশিয়া-অস্ট্রিয়া সফরে নজর রেখেছিল পশ্চিমী দুনিয়া, বিশেষ করে আমেরিকার। যা নিয়েই পশ্চিমী দুনিয়াকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিল মস্কো। সেই সফর নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্রের দাবি করেছিলেন ‘মোদীর সফরে ওরা ঈর্ষান্বিত’। এরপর নয়াদিল্লির ওপর পশ্চিমী দেশগুলি যেভাবে চাপ বাড়াচ্ছে তাতে মস্কোর প্রতিক্রিয়া কূটনৈতিক স্বার্থেই স্বাভাবিক বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

সাংঘাতিক গর্বের নজির ভারতীয় রেলের! দুনিয়ার সবচেয়ে উঁচু সেতু দিয়ে চলবে ট্রেন

জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে অত্যাধিক নাক গলিয়েছে হোয়াইট হাউস। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে চাপ বাড়ানো হয়েছে নয়াদিল্লির ওপর। যা নিয়ে তিতি বিরক্ত দিল্লি। এবার কূটনৈতিক মহলের আশা ট্রাম্প এলে হয়তো সেই নাক গলানোর প্রবণতা হয়তো কিছুটা কমবে। কারণ, মস্কোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে বেজিংয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেশি আগ্রহী ট্রাম্প। এই ধরনের কূটনৈতিক অবস্থান নয়াদিল্লির পক্ষে অনুকূল।