ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমা জেলায় রবিবার নকশালদের পুঁতে রাখা একটি প্রেশার আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে আহত হলেন এক ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DRG) জওয়ান। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাইগুদেম ও তুমালপাদ এলাকার মধ্যে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিশদ বিবরণ
সরকারি সূত্র অনুসারে, সুকমার রাইগুদেম ও তুমালপাদ এলাকার মধ্যে একটি নিয়মিত টহলদারি চলাকালীন এই বিস্ফোরণ ঘটে। আহত জওয়ানকে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন এবং তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
সপ্তাহের শুরুতে বড় অভিযান: ১০ নকশাল নিহত
এই ঘটনাটি ঘটার মাত্র কয়েক দিন আগেই সুকমা জেলায় ডিআরজি বাহিনী এবং নকশালদের মধ্যে এক সংঘর্ষে ১০ জন নকশাল নিহত হয়। এই অভিযানে ডিআরজি জওয়ানরা নকশালদের কাছ থেকে ইনসাস, একে-৪৭, এসএলআর এবং একাধিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া: জিরো টলারেন্স নীতি
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই এই সফল অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার নকশালবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ছত্তিশগড় থেকে নকশালদের সম্পূর্ণ নির্মূল নিশ্চিত করা হবে। রাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা, শান্তি এবং উন্নয়ন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”
২০২৬-এর লক্ষ্যমাত্রা
মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের লক্ষ্যমাত্রার কথা, যেখানে ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ছত্তিশগড় থেকে নকশালদের নির্মূল করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণে রাজ্য সরকার একটি সুপরিকল্পিত পন্থায় কাজ করছে বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।
সতর্কতা এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রয়োজন
এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে নকশালরা এখনও ছত্তিশগড়ের কিছু অঞ্চলে সক্রিয়। যদিও রাজ্য সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনী নকশালবাদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে, তবুও এই ধরনের ঘটনা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
নকশালবাদ একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা যা ছত্তিশগড়সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সমস্যা সৃষ্টি করে চলেছে। সরকারের পরিকল্পিত পদক্ষেপ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাহসী অভিযানের ফলে ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরো সতর্কতা ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। ছত্তিশগড়ের মানুষ আশা করছেন, নিকট ভবিষ্যতে এই সমস্যা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হবে এবং রাজ্য একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত পরিবেশে ফিরে যাবে।