এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পেল ভারতীয় বায়ুসেনা, যুদ্ধবিমানের সক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবে

IAF New Booster, SAAW Missiles: আজ বিশ্বের অনেক দেশ বিভিন্ন ফ্রন্টে যুদ্ধ করছে। সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেও উত্তেজনা বেড়েছে, যেখানে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা…

missile

IAF New Booster, SAAW Missiles: আজ বিশ্বের অনেক দেশ বিভিন্ন ফ্রন্টে যুদ্ধ করছে। সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেও উত্তেজনা বেড়েছে, যেখানে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। যাইহোক, যদি আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধবিমানের কথা বলি, তবে বর্তমানে ভারতের কাছে চতুর্থ প্রজন্ম পর্যন্ত জেট রয়েছে। কিন্তু মাত্র কয়েকদিন আগে, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং পঞ্চম প্রজন্মের একটি দেশীয় স্টিলথ যুদ্ধবিমান নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এটি তৈরি করছে। এটি মডেল অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (এএমসিএ) নামে পরিচিত। তবে, এই যুদ্ধবিমানগুলি উপলব্ধ না হওয়া পর্যন্ত, বায়ুসেনা তাদের পুরনো যুদ্ধবিমানগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করছে।

এখন ভারতীয় বায়ুসেনা যে ক্ষেপণাস্ত্রটি পাচ্ছে তা যুদ্ধবিমানের সক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবে। ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের দূরপাল্লার আক্রমণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাদের যুদ্ধবিমান বহরকে দেশীয় স্মার্ট অ্যান্টি এয়ারফিল্ড ওয়েপন (SAAW) দিয়ে সজ্জিত করার পরিকল্পনা করছে।

   

১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই SAAW ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভবিষ্যতের সংঘাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ডিআরডিও কর্তৃক তৈরি SAAW হল ১২০ কেজি ওজনের একটি নির্ভুল-নির্দেশিত আক্রমণ বোমা যা রাডার, বাঙ্কার এবং রানওয়ের মতো স্থলভিত্তিক শত্রু সম্পদ ধ্বংস করতে সক্ষম।

Advertisements

এই অস্ত্র ব্যবস্থাটি ডিআরডিওর হায়দরাবাদ-ভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র ইমারত (আরসিআই) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এর হালকা ওজন এবং উচ্চ নির্ভুলতা এটিকে একটি শক্তিশালী স্ট্যান্ডঅফ স্ট্রাইক সিস্টেম করে তোলে, যা লঞ্চার বিমানটিকে শত্রুর বায়ু প্রতিরক্ষা সীমার বাইরে থাকতে দেয়।

কোন কোন যুদ্ধবিমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি স্থাপন করা হবে? এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান বহরে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে Su-30 MKI এবং জাগুয়ার বিমান। পাকিস্তান ও চিনের সাথে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে এই অস্ত্রটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের দূরপাল্লার আঘাত হানার ক্ষমতা বৃদ্ধির উপর মনোযোগ দিচ্ছে।