IAF: ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) শীঘ্রই তাদের বহরে একটি ‘মিনি ফাইটার জেট’ যুক্ত করতে পারে, যা ড্রোনের আকারে থাকবে এবং শত্রু অঞ্চলে হাজার হাজার কিলোমিটার প্রবেশ করে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে সক্ষম হবে। এই অত্যাধুনিক জেট-চালিত ড্রোনটি ‘অভিমন্যু’ নামে পরিচিত হবে এবং এটি বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক কোম্পানি নিউস্পেস রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজি ভারতীয় নৌবাহিনীর সহযোগিতায় তৈরি করেছে। একই সময়ে, এটি প্রথমবারের মতো অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৫-এ বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল। এটি ভারতের প্রথম জেট-চালিত ড্রোন যা একটি বেসরকারি কোম্পানি তৈরি করেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক অভিমন্যু ড্রোনের বৈশিষ্ট্য এবং শক্তি।
‘অভিমন্যু ড্রোন’-এর বিশেষত্ব কী?
‘অভিমন্যু’ কেবল একটি ড্রোন নয়, এটি একটি ‘অনুগত উইংম্যান’-এর মতো কাজ করবে। এর অর্থ হল এটি আমাদের যুদ্ধবিমানগুলির সাথে উড়বে এবং তাদের সমর্থন করবে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিং (ML) এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি নিজে থেকেই শত্রুকে শনাক্ত করতে পারে এবং এড়াতে কৌশলও চালাতে পারে। অর্থাৎ, এটি শত্রুর আক্রমণ থেকে পালানোর প্রযুক্তিতে সজ্জিত।
অভিমন্যু ড্রোনের শক্তি এবং ক্ষমতা কী?
অভিমন্যু ড্রোনের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ মিটার। এই কারণেই এটিকে একটি মিনি ফাইটার জেটও বলা হচ্ছে। একই সাথে, এর গতি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার। এছাড়াও, এর পরিসীমা ১,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে এবং এটি ২০,০০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি রাডারের আওতায় আসে না। এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এটি শত্রুর রাডার থেকে পালিয়ে যেতে পারে। এর একটি বিশেষ কাঠামো এবং ইঞ্জিন গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে, যার ফলে রাডারে এটি সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও, এই ড্রোনটি নজরদারি, লক্ষ্য শনাক্তকরণ, আক্রমণ এবং শত্রুর উপর ইলেকট্রনিকভাবে আক্রমণের মতো অনেক কাজ করতে পারে।