IAF, Indian Air Force Fighter Jet: বিশ্ববাসী ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি সম্পর্কে অবগত। যখনই ভারতীয় বায়ুসেনা যুদ্ধক্ষেত্রে অবতরণ করেছে, তখনই তারা কেবল ভারতকে এগিয়েই রেখেছে না, বরং বিজয়ও নিশ্চিত করেছে। তবে, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের পরিবর্তনশীল পদ্ধতি এবং পাকিস্তান-চিন সংঘর্ষের মধ্যে, ভারত তার স্কোয়াড্রন ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে। এর জন্য, ২০২৬ সালের মধ্যে মোট ৫৪টি তেজস মার্ক ১এ যুদ্ধবিমান বহরে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ভারতের নিজস্ব যুদ্ধবিমান তেজস মার্ক ১এ
তেজস মার্ক ১এ হল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড দ্বারা নির্মিত একটি বহুমুখী যুদ্ধবিমান। এটি বিদ্যমান তেজস এলসিএর একটি উন্নত সংস্করণ। যার মধ্যে অনেক উন্নতি করা হয়েছে। একই সাথে, এতে আরও উন্নত রাডার AESA ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট এবং আপডেটেড ডিজিটাল কম্পিউটার সিস্টেম রয়েছে, যা এটিকে শত্রুদের উপর একটি সুবিধা দেয়।
তেজস যুদ্ধবিমানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল এটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিষেবা দেওয়া খুবই সহজ, তাই এটি অল্প সময়ের মধ্যেই আবার উড়তে প্রস্তুত হতে পারে। এছাড়াও, এটি অনেক ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা বহন করতে পারে, যা এটিকে আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমি উভয় ধরণের আক্রমণে সক্ষম করে তোলে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে HAL থেকে ৮৩টি তেজস মার্ক ১এ জেট কেনার অর্ডার দিয়েছিল, যার দাম ছিল প্রায় ৪৮,০০০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে HAL প্রথম জেটটি বিমান বাহিনীকে হস্তান্তর করে।
তিনটি স্কোয়াড্রন মোতায়েনের লক্ষ্য
বিমানবাহিনীর লক্ষ্য ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ তেজস মার্ক ১এ-এর তিনটি স্কোয়াড্রন সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা। একটি ফাইটার স্কোয়াড্রনে সাধারণত ১৮টি বিমান থাকে, যার অর্থ এই তিনটি স্কোয়াড্রনের সাথে বিমান বাহিনীর কাছে ৫৪টি নতুন তেজস মার্ক ১এ জেট থাকবে।
বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন শক্তি বৃদ্ধির জন্য এই মোতায়েন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে, বিমান বাহিনীর পূর্ণ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য ৪২টি স্কোয়াড্রনের প্রয়োজন, কিন্তু ভারতীয় বিমান বাহিনীর মাত্র ২৯টি স্কোয়াড্রন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, তেজস মার্ক ১এ মোতায়েনের ফলে এই শূন্যতা পূরণ হবে এবং বিমান বাহিনী অনেক অপারেশনাল প্রয়োজনের জন্য আরও বিকল্প পাবে।
অন্যদিকে, মিগ-২১-এর মতো যুদ্ধবিমানগুলি অবসরের দ্বারপ্রান্তে। তাদের জায়গায় তেজসের মতো যুদ্ধবিমান আসবে যা শক্তিকে অসাধারণভাবে বৃদ্ধি করবে। তেজাস প্রতি ঘন্টায় প্রায় ২২০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে সক্ষম।