স্পেস ফোর্সের জন্য স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক এয়ারশিপ বানাচ্ছে ভারত

Stratospheric Airship: ভারত তার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই কাজ কেবল ভূমিতেই সীমাবদ্ধ নয়, ভারত মহাকাশেও তার পতাকা স্থাপন করছে। ভারতীয় বায়ুসেনা…

Stratospheric Airship

Stratospheric Airship: ভারত তার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই কাজ কেবল ভূমিতেই সীমাবদ্ধ নয়, ভারত মহাকাশেও তার পতাকা স্থাপন করছে। ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) এবং প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) সর্বশেষ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক আকাশযান (Stratospheric Airship) তৈরি করছে। এর ফলে ভারতের মহাকাশ বাহিনীর শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে ভারত শত্রুর প্রতিটি গতিবিধির উপর নজর রাখবে।

Advertisements

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক আকাশযান কী?
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক এয়ারশিপ হল একটি বৃহৎ বেলুন বা জেটের মতো এয়ারশিপ যা হালকা গ্যাস অর্থাৎ হিলিয়াম দিয়ে ভরা। এটি পৃথিবীর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে থাকবে। এর মানে হল এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ২০-৫০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে কাজ করবে। এটি সৌরশক্তি থেকে শক্তি গ্রহণ করে এবং এর উপর চলে। এটি দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে থাকার ক্ষমতা রাখে।

   

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক আকাশযানটি কীসের জন্য ব্যবহার করা হবে?
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক আকাশযানগুলি উপগ্রহ নয়, তবে এগুলি উপগ্রহের মতো নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটির পর্যবেক্ষণ, যোগাযোগ এবং তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা রয়েছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর দাম একটি স্যাটেলাইটের মতো নয় এবং এটি এর মতোই কাজও প্রদান করে। স্যাটেলাইটের তুলনায় এটি উৎক্ষেপণ এবং পরিচালনা করা কম ব্যয়বহুল। এটি কেবল একবার নয়, বারবার ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি মেরামত এবং আপডেট করাও সহজ।

Advertisements

নজর থাকবে চিন-পাকিস্তানের দিকে
ভারত যে বিমানবাহী জাহাজটি তৈরি করছে তাতে উচ্চ রেজোলিউশনের ক্যামেরা, রাডার সিস্টেম এবং সেন্সর থাকবে। এটি সীমান্ত এলাকা, সামুদ্রিক এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে। এর ফলে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলো, বিশেষ করে চিন ও পাকিস্তানের সামরিক তৎপরতার উপর নজর রাখতে পারবে। সামগ্রিকভাবে, এটাও বলা যেতে পারে যে IAF এবং DRDO-এর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক আকাশযান কেবল ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকেই শক্তিশালী করবে না বরং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও এর নাম উচ্চতর করবে।