ভারতের নতুন এয়ার লঞ্চ ক্রুজ মিসাইল, কম খরচেই বড় হুমকি তৈরি করবে

ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) এবং DRDO একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের কাজ ত্বরান্বিত করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশ থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে এবং দূর থেকে শত্রুকে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করতে…

itcm

ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) এবং DRDO একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের কাজ ত্বরান্বিত করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশ থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে এবং দূর থেকে শত্রুকে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম হবে। এটি স্বদেশী প্রযুক্তির ক্রুজ মিসাইল (ITCM) এর উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা আগে ভূমি থেকে উৎক্ষেপণ করা হত। এখন বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের জন্য একই প্রযুক্তি তৈরি করা হচ্ছে।

ITCM কী এবং এটি কীভাবে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে?
ITCM হল একটি ভারতীয় প্রযুক্তি ভিত্তিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা ভূমি থেকে নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু এখন ডিআরডিও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে যা একটি যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যায়। এই ক্ষেপণাস্ত্রটিতে স্থল সংস্করণের মতো কোনও বুস্টার থাকবে না কারণ এটি সরাসরি আকাশ থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে, অর্থাৎ এটি কোনও অতিরিক্ত ধাক্কা ছাড়াই দ্রুত উড়তে সক্ষম হবে।

   

কোন যুদ্ধবিমান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা যাবে?
ডিআরডিও এই ক্ষেপণাস্ত্রের আকার এবং ওজন এমনভাবে রাখছে যাতে এটি বায়ুসেনার অনেক জেটে ফিট হতে পারে। যেমন Su-30MKI, MiG-29, Rafale, LCA Tejas এবং আসন্ন ফাইটার AMCA। এটি হালকা এবং ছোট করা হবে যাতে ফাইটার জেটের উপর অতিরিক্ত বোঝা না থাকে।

ক্ষেপণাস্ত্রটির বিশেষত্ব কী হবে?
এর পালা ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার হবে, অর্থাৎ পাইলটকে শত্রুর কাছে যেতে হবে না। এর ওজন হবে প্রায় ১.২ টন, যা ব্রহ্মোস-এনজির সমান। এর গতি হবে সাবসনিক, অর্থাৎ এটি শব্দের গতির চেয়ে ধীর গতিতে চলবে কিন্তু মাটির কাছাকাছি উড়তে থাকবে যাতে রাডার এটি সনাক্ত করতে না পারে। ইঞ্জিনটি হবে মানিক টার্বোফ্যান, যা GTRE দ্বারা নির্মিত। গাইডেন্স সিস্টেমগুলি উন্নত হবে, যেমন GPS এবং সম্ভবত TERCOM প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হবে।

কেন এটিকে ব্রহ্মোস-এনজির সাথে তুলনা করা হচ্ছে?

Advertisements

ব্রহ্মোস-এনজি একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার গতি খুব বেশি (ম্যাক ৩.৫+) এবং আক্রমণাত্মক ক্ষমতাও অসাধারণ। কিন্তু এটি ব্যয়বহুল এবং সমস্ত যুদ্ধবিমানে মাপসই করা যায় না। একই সাথে, এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি খুবই সস্তা হবে, অনেক যুদ্ধবিমানে ফিট হবে, দীর্ঘ দূরত্ব থেকে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করবে এবং একসাথে অনেক মিশনে ব্যবহার করা যাবে।

এর ফলে ভারত কীভাবে লাভবান হবে?

বায়ুসেনার কাছে একটি সাশ্রয়ী মূল্যের এবং শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বিকল্প থাকবে। পাইলট শত্রুর অঞ্চলে প্রবেশ না করেই আক্রমণ করতে সক্ষম হবেন। খরচ কম হওয়ায় ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। এতে ভারতের কৌশলগত শক্তি এবং স্বনির্ভরতা উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।