“এখানে জন্মেছি, কোথায় যাব?”, SIR-এর কোপে পরিযায়ী শ্রমিক

“বাবা বলেছিলেন তিনি বাংলাদেশে জন্মেছিলেন। কিন্তু আমি, আমার ভাইবোন তো এখানেই জন্মেছি! এখন আমরা যাব কোথায়?” বিহারের খসড়া ভোটার তালিকায় নাম থাকা “সন্দেহভাজন” তিন লক্ষ…

"এখানে জন্মেছি, কোথায় যাব?", SIR-এর কোপে পরিযায়ী শ্রমিক

“বাবা বলেছিলেন তিনি বাংলাদেশে জন্মেছিলেন। কিন্তু আমি, আমার ভাইবোন তো এখানেই জন্মেছি! এখন আমরা যাব কোথায়?” বিহারের খসড়া ভোটার তালিকায় নাম থাকা “সন্দেহভাজন” তিন লক্ষ ভোটারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছেন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা। নোটিশ পেয়েছেন কিষানগঞ্জের এক পরিযায়ী শ্রমিকও।

বিশেষ নিবিড় সংশোধনের জন্য ‘সরকারের দেওয়া’ সব নথিই জমা করেছিলেন বলে দাবি তাঁর। তা সত্ত্বেও হঠাৎ পাওয়া ‘সরকারি’ নোটিশে বর্তমানে নাগরিকত্ব হারাতে বসেছেন তিনি। সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেন, “আমি আধার, ভোটার সব জমা করেছিলাম। কিন্তু ওরা বসবাসের প্রমাণ চাইছে”। তাহলে তা জমা করা হয়নি কেন? প্রশ্নের উত্তরে ম্লানমুখে ওই পরিযায়ী শ্রমিক জানান, “কাজের জন্য বেশিরভাগ সময়ই আমাকে বাইরে থাকতে হয়। তাই অন্যান্য কাগজ জমা করলেও বসবাসের প্রমাণপত্রটি জমা করতে পারিনি।”

   

এখন তো আপনাকে “বাংলাদেশী” মনে করা হবে, কি করবেন? উত্তর আসে, বাবা বাংলাদেশে জন্মেছিলেন। বহু বছর আগে তিনি ভারতে আসেন। এখন বাবা আর নেই। তবে আমরা ভাইবোনরা এখানেই জন্মেছি, এখানেই বাস করি। এখন আমরা কোথায় যাব?”

Advertisements

মূলত, উত্তর বিহারের উত্তর বিহারের সীমান্ত লাগোয়া পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ, মধুবনী, কিষানগঞ্জ, পূর্ণিয়া, আরারিয়া, কাটিহার, সুপৌলির মোট জেলাগুলিতেই অধিকাংশ ‘সন্দেহভাজন’ নাম চিহ্নিত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্ত লাগোয়া ওইসব এলাকার বাসিন্দারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেও তা হয় অসম্পূর্ণ, ভুল অথবা জাল বলে সন্দেহ রয়েছে।

২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিরা অনলাইনে আধার কার্ডের মাধ্যমে নাম তোলার আবেদন জানাতে পারবেন। আগামী সোমবারের মধ্যে আবেদন জমা করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।