Indian Family In Iran: ইজরায়েল ও ইরান বর্তমানে যুদ্ধের মুখোমুখি। মঙ্গলবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইজরায়েলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বলা হচ্ছে, ইজরায়েল বর্তমানে ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব ঘটনার মধ্যে ইরানেও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রযুক্তি ও সামরিক শক্তির দিক থেকে ইজরায়েল ইরানের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এমতাবস্থায় ইজরায়েল ইরানে হামলা চালালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। এই কারণেই ইরানে পড়তে যাওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের পরিবেশ রয়েছে।
শুধু ভারতীয় নয়, সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা ইরানে পড়াশোনা করছে। ভারত ও ইরানের সম্পর্ক অনেক পুরনো। যখন থেকে ইরান পারস্য নামে পরিচিত ছিল, তখন থেকেই ভারতের সঙ্গে এর রাজা ও ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক ছিল। এই কারণেই এত বছর পরেও ভারতের মানুষ ব্যবসা ও পড়াশোনার জন্য ইরানে যাচ্ছেন। বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ১০,৩২০ ভারতীয় ইরানে বসবাস করছেন।
ভারতীয় ছাত্রদের কথা বললে, তাহলে গত বছর বিদেশ মন্ত্রক রাজ্যসভায় বলেছিল যে ২০২৩ সালে প্রায় ১৭০০ ছাত্র ইরানে পড়াশোনা করছে। ২০২২ সালে এই শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০৫০। এসব শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই তেহরানে অধ্যয়নরত। যুদ্ধের কারণে এইসব শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের বাড়তে থাকা হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে তারা মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একটি পরামর্শ জারি করে মন্ত্রক বলেছে, “ভারতীয় নাগরিকদের ইরানে সমস্ত অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। “যারা বর্তমানে ইরানে বসবাস করছেন তাদের সতর্ক থাকার এবং তেহরানে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে।”
ইরানে অধ্যয়নরত হায়দ্রাবাদ ছাত্রদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে জাতীয় সংবাদমাধ্যম Tv9 ভারতবর্ষ। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে সৈয়দ জাফর হুসাইনী জানিয়েছেন, “আমি আমার সন্তানদের নিয়ে খুব চিন্তিত। আমার ছেলে ও মেয়ে-জামাই তাদের সন্তানদের সঙ্গে ইরানে ডাক্তারি পড়ছে। কিন্তু আমরা যখন বাচ্চাদের সঙ্গে ফোনে এবং ভিডিও কলে কথা বলি, তারা বলে যে তারা একদম ভাল আছে। সেখানে তাদের কোনও বিপদ নেই। আমি আশা করি দুই দেশের মধ্যে কোনও যুদ্ধ হবে না।“
এই বিষয়ে কী বলছে হায়দ্রাবাদে ইরানের কনস্যুলেট? হায়দ্রাবাদে ইরানের কনসাল আগা মেহেদি শারকি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ইরানে সবাই নিরাপদ। সে ইরানী হোক, বিদেশী হোক বা ভারতীয় হোক। তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা তাদের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। কোনও হামলা হলে তা হবে মানবতার ওপর হামলা।‘
ভারতীয়রা যারা ইরানে যায় তাদের বেশিরভাগই মেডিকেল স্টুডেন্ট। কারণ সেখানকার কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস ফি খুবই কম। এই কারণে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়াশোনা করতে যায়। ভারতের মতো ইরানে এমবিবিএস ডিগ্রি দেওয়া হয় না, তবে এটি এমবিবিএসের সমতুল্য। এটি ডক্টর অফ মেডিসিন ডিগ্রি নামে পরিচিত।