বান্ধবগড় (Bandhavgarh) টাইগার রিজার্ভে (Tiger Reserve) ১০ টি হাতির রহস্যজনক মৃত্যুর (death) নেপথ্যে কোন কারণ? সামনে এসেছে ফরেনসিক রিপোর্ট (forensic report) সম্প্রতি ১০টি হাতির রহস্যজনক মৃত্যুর কারণে বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভে শিরোনামে উঠে এসেছে। ফরেনসিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোডো মিলেটে সাইক্লোপিয়াজোনিক অ্যাসিড থাকার কারণে হাতিদের মৃত্যু হয়েছে।সাইক্লোপিয়াজোনিক অ্যাসিডযুক্ত বাজরা খেয়েছিল হাতি।
বনদফতরের উচ্ছপদস্ত আধিকারিক এল. কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের IVRI, UP-এর টক্সিকোলজিকাল রিপোর্ট অনুসারে, হাতিরা প্রচুর পরিমাণে শস্য খেয়েছে। উল্লেখ্য, হাতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন যে বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভে ১০টি হাতির মৃত্যুর পর এক সপ্তাহ কেটে গেছে। অপরাধীদের ধরার কথা তো ছেড়েই দিন, মধ্যপ্রদেশ সরকার হাতির মৃত্যুর কারণও স্পষ্ট করতে পারেনি।
হাতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে তরজাঃ
উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বন্য প্রাণীদের জীবন বিপন্ন। মধ্যপ্রদেশের বন বিভাগ বন্য প্রাণীদের রক্ষা করতে সম্পূর্ণ অক্ষম। রাষ্ট্রের তদন্তকারী সংস্থাগুলো অসহায়। হাতির মৃত্যু তদন্তের কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ লিখেছেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের কাছে আবেদন করছি ১০টি হাতির মৃত্যুর ঘটনা সিবিআই তদন্ত করুক বা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিন। নিরপেক্ষ তদন্তের অভাবে বন্য প্রাণীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। আমি আশা করি মুখ্যমন্ত্রী আমার দাবি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।”
বনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে কংগ্রেসঃ
রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটোয়ারির অভিযোগ, হাতিদের বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, মৃত্যুর অভিযুক্তরা সরকার ও বন বিভাগ। বন্যপ্রাণীর জন্য প্রকাশিত বাজেটে কেলেঙ্কারি রয়েছে। বনমন্ত্রী রামনিবাস রাওয়াতের পদত্যাগ চেয়েছে কংগ্রেস।
পাটোয়ারী বলেন, বনমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে হাতি মারা যাচ্ছে। জনগণ বিজেপির ভণ্ডামি বোঝে। তিনি বলেন, পদত্যাগ না করলে বিজয়পুরের মানুষ এবং প্রতিটি কংগ্রেস কর্মী বনমন্ত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেবেন। পিসিসি প্রধান জিতু পাটোয়ারী বনমন্ত্রীর পদত্যাগ গ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের কাছে আবেদন করেছেন।