দিল্লিতে ভোটের দিনে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা-সহ গ্রেপ্তার অতিশীর ২ কর্মী

দিল্লিতে ভোটের শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বড় ধরনের একটি অভিযান চালাল দিল্লি পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনার অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা-সহ গ্রেপ্তার করা…

Hours Before Delhi Elections, Two Employees of CM's Office Detained with 5 Lakh Cash

দিল্লিতে ভোটের শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বড় ধরনের একটি অভিযান চালাল দিল্লি পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনার অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা-সহ গ্রেপ্তার করা হল দুই কর্মীকে। এ ঘটনায় দিল্লির রাজনীতি আবারও আলোচনায় এসেছে এবং মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনার বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া দুই কর্মীর একজন অতিশীর ব্যক্তিগত সহকারি এবং অন্যজন তাঁর গাড়ি চালক। তারা নির্বাচনের আগে, ভোটারদের প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে বড় অঙ্কের টাকা বহন করছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া দুই কর্মীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই টাকা কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল, তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।

   

দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রবি কুমার সিং জানান, অভিযুক্তরা গৌরব এবং অজিত নামে পরিচিত। এরা মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের কর্মী এবং এই টাকা ভোটারদের প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করে এবং এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনও বিষয়টির গুরুত্ব নিয়ে খতিয়ে দেখছে।

অন্যদিকে, এই গ্রেপ্তারির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা সরব হয়েছেন। তিনি দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি, দিল্লি পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশন একযোগে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অতিশী জানান, “বিজেপি, দিল্লি পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশন সবগুলো এজেন্সিকে আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। তারা আপের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিজেপি নেতা-কর্মীরা টাকা নিয়ে ঘুরছেন, দিল্লি পুলিশ তা জানলেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, দিল্লির জনগণ আপের পাশে রয়েছেন এবং তাদের শক্তি কেউ ভাঙতে পারবে না। তাঁর ভাষায়, “জনতার শক্তিকে হারানো সম্ভব নয়। আমরা বিজেপির সমস্ত ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করব।”

এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং দিল্লির নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বর্তমানে দিল্লির রাজনৈতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে নানা ধরণের আলোচনা চলছে। তবে একে শুধু একটি নিছক গ্রেপ্তারি নয়, বরং এটি একটি বড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। রাজনীতির এই খেলা আরও জমাট বাঁধবে, এবং জনগণও আগামীর নির্বাচন সম্পর্কে তাদের মতামত জানাবে।