লখনউ: দিল্লির লালকেল্লার সামনের ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Explosion) রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশ। এরই মধ্যে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বারাবঙ্কি জেলা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত প্রায় ৫। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে কানফাটানো আওয়াজে কেঁপে ওঠে বারাবঙ্কির সরাই বরাই গ্রাম।
বিস্ফোরণের আওয়াজ এতটাই তীব্র ছিল যে কয়েক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত তা শোনা যায়। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়ায় পার্শ্ববর্তী এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মত সরাই বরাই গ্রামের একটি বাজি কারখানায় এদিন বিকেলে কাজ করছিলেন কর্মচারীরা। কোনভাবে আচমকা আগুন লেগে ওই বিস্ফোরণ (Explosion) ঘটে।
পুলিশের অনুমান, বাজি কারখানায় নিরাপত্তার মানদন্ডের তোয়াক্কা না করেই চলছিল বাজি তৈরি। যা থেকে এত ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেইসঙ্গে পুলিশের সাহায্যে গ্রামবাসীরা মৃতদেহ উদ্ধারের কাজে নামেন। আহতদের অবস্থা গুরুতর দেখে লখনউ-এর ট্রমা সেন্টারে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) অনুরাগ সিং হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। “দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে কারখানার কার্যক্রমে অবহেলার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে”, বলে জানান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, বারাবঙ্কির ওই বাজি তৈরির কারখানার মেয়াদ চলতি বছরের মার্চ মাসেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণে (Explosion) কারখানার মালিক খালিদ ও তাঁর ভাই গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং বিস্ফোরণের সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য ধ্বংসাবশেষের বিস্তারিত পরিদর্শন করছে। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তারা কারখানাটি প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কিনা তা মূল্যায়ন করেন।
সরাই বরাই গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর সমগ্র ভবনটিকে বিধ্বংসী আগুন গ্রাস করে। গলগল করে বেরতে থাকে কালো ধোঁয়া। কয়েক ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকল বাহিনী। জেলা প্রশাসন অবহেলার জন্য দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আতশবাজি প্রস্তুতকারকদের ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করতে সুরক্ষা নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।


