দাদার হাতে ‘অনার কিলিং’ এর শিকার বোন, ক্রিকেটের ড্রোন দিয়ে অভিযুক্তকে পাকড়াও পুলিশের

পরিবারের সম্মানরক্ষায় (honour killing) নিজের বোনকে খুন করার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন্ন ধর্মের…

Young girl from Maharashtra killed in the name of honour killing

short-samachar

পরিবারের সম্মানরক্ষায় (honour killing) নিজের বোনকে খুন করার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন্ন ধর্মের যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণেই নিজের বোনকে খুন করে ঋষিকেশ তানাজি নামের ওই যুবক। এদিন পাহাড়ের ৫০০ ফুট ওপর থেকে ধাক্কা মেরে ওই যুবক তার বোনকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। প্রথমে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও পরে খুনের অভিযোগ স্বীকার করে নাবালিকার পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, বেড়াতে যাওয়ার নাম করে মেয়েটিকে তার দাদা নিয়ে যায় পাহাড়ের চূড়ায়। সেখান থেকেই পরে মৃত্যু ঘটে তার।

   

ভারতের জমি হাতিয়েছিল বাংলাদেশ, সেই ৫ কিমি জমি উদ্ধার, দাবি বিএসএফের

ওই এলাকায় একটি উড়ন্ত ড্রোন থেকেই গোটা ফুটেজটি হাতে পায় পুলিশ। তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মৃতা নাবালিকা মহারাষ্ট্রের শাহগড়ের বাসিন্দা। ভিন্ন সম্প্রদায়ের যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল পরিবারের। নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে আগেই বুঝতে পেরেছিল নাবালিকা। সেই মতো শাহগড়ের থানায় নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিল নাবালিকা। প্রেমে বিচ্ছেদ হওয়ায় নাবালিকাকে পাঠানো হয় তার কাকার বাড়ি, যেখানে তাকে বোঝানো হয় এই সম্পর্কে না জড়াতে।

সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে চিন-পাকিস্তান! সামরিকীকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ বায়ু সেনা প্রধানের

কিন্তু তবুও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে অনড় থাকে সে। ফলে পুলিশের অনুমান সেই কারণেই তাকে খুনের পরিকল্পনা করতে থাকে পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশের খবর অনুযায়ী, গতকাল ঘটনাস্থলে বেড়াতে নিয়ে যায় মেয়েটির দাদা। সেখান থেকেই ৫০০ ফুট উপর থেকে ফেলে মেরে ফেলা হয় মেয়েটিকে। ঘটনা চলাকালীন কাছেই একটা ক্রিকেট ম্যাচের ভিডিওগ্রাফি চলাকালীন সমস্ত ঘটনা ধরা পরে ড্রোনে।

মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকতে বাধা! আপ-পুলিশ সংঘাতে উত্তপ্ত রাজধানী

পুলিশের জেরায় খুনের অভিযোগ স্বীকার করেন ধৃত। পরিবারের দাবি, এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে তারা ওই নাবালিকাকে একাধিকবার বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন পরিবারের সদস্যেরা। খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত না হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল মেয়েটির পরিবার।