‘হ্যানিট্র্যাপে’ ফাঁস সামরিক তথ্য, গ্রেপ্তার অর্ডন্যান্স কর্মচারী

https://kolkata24x7.in/wp-content/uploads/2025/03/ATS.jpg

উত্তর প্রদেশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স (আইএসআই)-এর জন্য গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে ফিরোজাবাদের একটি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে কাজ করা একজন ব্যক্তি রবীন্দ্র কুমারকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, রবীন্দ্র কুমার গ্যাঙ্গায়ান মহাকাশ প্রকল্প এবং একটি সামরিক লজিস্টিকস ডেলিভারি ড্রোনের ট্রায়ালের মতো গোপন তথ্য পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠিয়েছেন।

Advertisements

এটিএস প্রধান নিবলজা চৌধুরী শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, রবীন্দ্র কুমার তার ফোনে ‘চন্দন স্টোর কিপার ২’ নামে একটি পরিচিতির মাধ্যমে একটি মহিলা হ্যান্ডলার ‘নেহা শর্মা’র সাথে যোগাযোগ করত, যে আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে কাজ করত। নেহা শর্মা ফেসবুকের মাধ্যমে রবীন্দ্র কুমারের সাথে প্রথম যোগাযোগ স্থাপন করেন, এবং তারপর কুমার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তথ্য শেয়ার করতেন। এ তো এস প্রধান জানান, “আমাদের আগ্রা ইউনিট রবীন্দ্র কুমারের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এবং পরে তাকে বিস্তারিত প্রশ্ন করার জন্য এটিএস সদর দপ্তরে ডাকা হয়। সেখানেই প্রকাশিত হয় যে, তিনি ‘নেহা’ নামে এক হ্যান্ডলারের মাধ্যমে অর্ডিন্যান্সের অত্যন্ত গোপন তথ্য শেয়ার করেছেন।”

রবীন্দ্র কুমারের শেয়ার করা তথ্যগুলির মধ্যে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির দৈনিক উৎপাদন রিপোর্ট, রিকুইজিশন বিস্তারিত এবং অন্যান্য সুরক্ষিত সামরিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। চৌধুরী জানান, এটি একটি দীর্ঘদিনের গুপ্তচরবৃত্তি মডেল, যেখানে মহিলারা পুরুষদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য বের করে আনতে সাহায্য করে। এই ধরনের “হানি ট্র্যাপ” বা ফাঁদ, যেখানে মহিলা এজেন্টরা পুরুষদের প্ররোচিত করে, প্রায়শই প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত তথ্য বের করতে ব্যবহৃত হয়, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি। এটিএস প্রধান আরও বলেন, “আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় জানতে পারি যে তিনি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির দৈনিক উৎপাদন রিপোর্ট, রিকুইজিশন ডিটেইলস এবং অন্যান্য সুরক্ষিত সামরিক তথ্য শেয়ার করেছেন। এই ধরনের তথ্য জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।

Advertisements

এছাড়া, চৌধুরী অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার কথা ও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এমন তথ্য যাতে আর লিক না হয়, সেজন্য সকল কর্মচারীর জন্য একটি ন্যূনতম নিরাপত্তা স্তর বজায় রাখা উচিত।” রবীন্দ্র কুমারের একজন সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এই ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এক বড় সতর্কতা সংকেত এবং প্রতিরক্ষা খাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।