কান ফাটানো আর্তনাদ, চাকার তলায় পিষল একের পর এক পথচারী

পুণের পর এবার নাগপুর, ফের একবার দেশে ঘটে গেল হিট অ্যান্ড রান কেস। দ্রুত গতিতে একটি গাড়ি চালাচ্ছিল নাবালক, আর সেই গাড়িই পিষে দিল বহু…

পুণের পর এবার নাগপুর, ফের একবার দেশে ঘটে গেল হিট অ্যান্ড রান কেস। দ্রুত গতিতে একটি গাড়ি চালাচ্ছিল নাবালক, আর সেই গাড়িই পিষে দিল বহু মানুষকে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আর এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে নাগপুরে।

সম্প্রতি পুনেতে হওয়া পোর্শে কেলেঙ্কারির কথা মানুষ ভুলতে পারেনি, তারই মাঝে ঘটে গেল একইরকম ঘটনা। এবার নাগপুরে হাইস্পিড গাড়ির কারণে পথ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। নন্দনবন থানার অন্তর্গত ভেঙ্কটেশনগর চকের কেডিকে কলেজের কাছে গাড়িটি চালাচ্ছিল নাবালক। আচমকাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় কালো স্কোডা গাড়িটি। এরপর অনিয়ন্ত্রিত গাড়িটি প্রথমে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি দু’চাকার গাড়িকে ধাক্কা মারে এবং তারপরে ফল ও সবজি বিক্রেতা এবং কয়েকজন পথচারীর ভিড়ের মধ্যে ধাক্কা মারে। এরপর খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্থ গাড়িটি অবশেষে রাস্তার পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে থেমে যায়।

   

এহেন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। গাড়ির ধাক্কায় ফল ও সবজি বিক্রেতাসহ পাঁচজন আহত হন। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বহু যানবাহন ভেঙেচুরে গিয়েছে। উত্তেজিত জনতা নাবালককে গাড়ি থেকে টেনে বের করে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। উত্তেজিত জনতা তাকে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করে, এমনকি তাকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায় একেরপর। এদিকে প্রাণ বাঁচাতে নাবালক উত্তেজিত জনতার কাছে কাকুতি-মিনতি করছিল তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিল না উত্তেজিত জনতা।

যাইহোক, অভিযুক্তকে ব্যাপক মারধরের পর নাবালককে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশকে দিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, পুলিশ ওই নাবালক ও গাড়ির মালিক মঙ্গেশ গোমাশেকে হেফাজতে নিয়েছে। গোমাশে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। গোমাশে গ্যারেজে কর্মরত নাবালিকার চাবি দিয়েছিল। আসলে, নাবালক তার মালিক পথে পার্ক করা গাড়িটি দূরে কোথাও পার্ক করতে বলেছিলেন। এদিকে একজন নাবালককে গাড়ি চালাতে বাধ্য করার জন্য পুলিশ গ্যারেজের মালিক মহেশ গোনাদেকেও আটক করেছে।