নয়াদিল্লি: বিজেপির আদর্শিক গুরু রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সংঘের (RSS) বৈধতা এবং কর ছাড় নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এই আবহে ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য করলেন সংঘ-প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, রবিবার সংঘ প্রধান ভাগবত বলেছেন, “অনেক কিছুই তো নিবন্ধিত নয়। এমনকি আমাদের হিন্দু ধর্মও তো নিবন্ধিত নয়”। তিনবার নিষিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “সরকার তো আমাদের নিষিদ্ধও করেছে। যদি আমাদের অস্তিত্বই না থাকত, তাহলে কাকে নিষিদ্ধ করত?”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্কুল-কলেজ, সরকারি অফিস বা পাবলিক স্পেসে RSS-এর কর্মসূচী নিষিদ্ধকরণের দাবীতে উত্তাল কর্ণাটকের রাজ্য রাজনীতি। সংঘকে ‘সাম্প্রদায়িক সংগঠন’ বলে উল্লেখ করে তোপ দেগে আসছেন কর্ণাটকের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খারগে (Priyank Kharge)। সেইসঙ্গে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারও সরকারি জায়গা বা পাবলিক স্পেসে RSS-এর কার্যক্রমের উপর লাগাম টানতে চাইছে।
এই আবহে বেঙ্গালুরুর একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। আরএসএসের ১০০ বছরের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও যুক্তি দিয়েছেন, “১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আরএসএস-কে কি আমাদের ব্রিটিশ সরকারের কাছে নিবন্ধিত করা উচিত ছিল?”
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরের কথা বলতে গিয়ে ভাগবত বলেন, “সরকার সংগঠনের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেনি।” পাশাপাশি, করের অবস্থা নিয়েও কথা বলেন মোহন ভাগবত। তিনি দাবি করেন যে আয়কর বিভাগ এবং আদালত “উল্লেখ করেছে যে আরএসএস একটি ব্যক্তিগত সংগঠন” এবং এটিকে কর থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
‘হিন্দু সমাজ’ গড়তে চায় RSS
শনিবার বেঙ্গালুরুতেই RSS-এর লক্ষ্য উল্লেখ করেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি জানান, “RSS-এর লক্ষ্য হল হিন্দু সমাজ গড়ে তোলা। এটি শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য নয়, বরং, দেশের গৌরবের জন্য করতে চায় RSS।” তিনি দাবী করেন, হিন্দুরা ভারতের জন্য “দায়িত্বশীল”।
সেইসঙ্গে RSS-এর ‘হিন্দু সংজ্ঞা’ পুনর্ব্যক্ত করে ভাগবত বলেন, “সকল ভারতীয়ই হিন্দু”। তিনি যুক্তি দেন, ভারতে কোনও “অহিন্দু” নেই, কারণ ভারতের সকলেই, উদাহরণস্বরূপ মুসলিম এবং খ্রিস্টান সবাই একই পূর্বপুরুষের বংশধর এবং “দেশের মূল সংস্কৃতি হিন্দু”।
