মুসলমান বৃদ্ধির ফলে অসমের জনবিন্যাসের বদল নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করলেন অসমে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিস্ব শর্মা। তবে এই বদলকে “জীবন ও মৃত্যুর বিষয়” বলে মন্তব্য করেচেন মুখ্যমন্ত্রী।
হিমন্তের কথায়, “জনবিন্যাসের পরিবর্তন আমার জন্য একটি বড় সমস্যা। অসমে, মুসলিম জনসংখ্যা আজ ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। ১৯৫১ সালে, এটি ছিল ১২ শতাংশে। আমরা অনেক জেলা হারিয়েছি। এটা আমার কাছে কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। এটা আমার জন্য জীবন-মৃত্যুর ব্যাপার।”
জনবিন্যাস পরিবর্তেনর জন্য মুসলিমদের এই প্রথম দায়ী করলেন না হিমন্ত। ২০২১ সালের জুনে, রাজ্যে সরকার গঠনের পরপরই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন যে, “জনসংখ্যার বিস্ফোরণই আসামের সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং দারিদ্র্যের মূল কারণ।”
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং জনগণের মধ্যে গর্ভনিরোধক বিতরণ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন।
গত বছর, অসম সরকারের তরপে বলা হয়েছিল, এটি রাজ্যের পাঁচটি আদিবাসী মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা চালাবে তাদের উন্নতির জন্য।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছেন।
মার্চ মাসে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োগের পরে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের আদিবাসী হিসাবে ‘মিয়া’ নামে পরিচিত বাংলাভাষী বাংলাদেশী মুসলমানদের স্বীকৃতি দেওয়ার শর্ত বেঁধেছিলেন।
হিমন্ত শর্মা জোর দিয়েছিলেন যে, মিয়া সম্প্রদায়কে অসমে স্বীকৃত করার জন্য, অবশ্যই কিছু সাংস্কৃতিক অনুশীলন এবং নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী উত্তর-পূর্ব রাজ্যে মিয়া সম্প্রদায়কে আদিবাসী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয়তা হিসাবে পরিবারকে দু’টি সন্তানের মধ্যে সীমাবদ্ধ করার কথা বলেছিলেন। এছাড়া, বহুবিবাহ রোধ এবং নাবালিকা কন্যাদের বিবাহ রোধেও জোর দিয়েছিলেন।