হিমাচল প্রদেশের কিন্নর (Kinnaur) জেলায় গভীর রাতে ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছে ৩.১। এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয় কিন্নৌরে রাত ১টা ২৯ মিনিটে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছে ৩.০। ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হলে এলাকার মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে এটা স্বস্তির বিষয় যে ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। ভূমি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি হয়েছিল।
গত রবিবার বিকেল ৪টা ০৯ মিনিটে লেহ লাদাখে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর তীব্রতা ছিল ৩.৬। রবিবারই লেহ লাদাখে দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার তীব্রতা ছিল ৩.১। এমনকি ১২ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশের শিমলা জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। সিমলা জেলার অন্তর্গত খাসাধারের চিরগাঁওয়ে ভূমিকম্প হয়।
ভূমিকম্পের কারণঃ
পৃথিবীর পৃষ্ঠের নীচে বা পৃথিবীর ভিতরে সর্বদা অশান্তি লেগেই থাকে। পৃথিবীর অভ্যন্তরে উপস্থিত প্লেটগুলি প্রতিনিয়ত একে অপরের সাথে সংঘর্ষ বা দূরে সরে যাচ্ছে। এ কারণে প্রতি বছরই ভূমিকম্প হচ্ছে। ভূমিকম্প বোঝার আগে আমাদের অবশ্যই পৃথিবীর নীচে উপস্থিত প্লেটের গঠন বুঝতে হবে। পৃথিবীতে ১২টি টেকটোনিক প্লেট রয়েছে। এই প্লেটগুলি একে অপরের সাথে সংঘর্ষে যে শক্তি নির্গত হয় তাকে ভূমিকম্প বলে।
ভূমিকম্পের দিক থেকে ভারতকে পাঁচটি সিসমিক জোনে ভাগ করা হয়েছে। সিসমিক জোন-৫ এর এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। একই সঙ্গে জোন ১ ও ২ এর এলাকাগুলো সবচেয়ে কম ঝুঁকিতে রয়েছে। পঞ্চম জোন দেশের ১১ শতাংশ, আর চতুর্থ জোন ১৮ শতাংশ কভার করে। যেখানে দেশের ৩০ শতাংশ তৃতীয় ও দ্বিতীয় জোনে পড়ে। হিমাচল প্রদেশের বেশির ভাগ এলাকা ভূমিকম্পের দিক থেকে সিসমিক জোন ৪ এবং ৫ এ পড়ে।