হিজাব ইসলামিক ধর্মবিশ্বাসে পরা বাধ্যতামূলক নয়। মঙ্গলবার এমনই রায় দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। এর ফলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে যে সব পিটিশন হাইকোর্টে জমা পড়েছিল, তা সব খারিজ হয়ে যায়। কার্যত আদালতের এই রায়ের পর শেষ হাসি হাসল কর্নাটক সরকারে।
তবে পড়ুয়ারা এখানেই থেমে থাকতে রাজি নন। তারা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন। বিষয়টি নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য কর্নাটক সরকার এক সপ্তাহের জন্য বেঙ্গালুরু ও ম্যাঙ্গালুরুতে বড় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
গত ১ জানুয়ারি হিজাব পরা নিয়ে কর্নাটকে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কর্নাটকের কুন্ডাপুর প্রি ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, হিজাব পরে ছাত্রীরা কলেজে আসতে পারবে না। অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তে মুসলিম ছাত্রীরা তীব্র ক্ষোভ জানায়। ছাত্রীরা জানায়, হিজাব পরে কলেজে আসতেই তারা অভ্যস্ত। এই পোশাক ছাড়া কলেজে আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু অধ্যক্ষ ছাত্রীদের এই দাবিতে কান দেননি।হিজাব পরা নিয়ে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ হয়। পুলিশের সঙ্গেও একাধিক সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। কিছু কিছু জায়গায় জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারাও। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয় সমস্ত স্কুল ও কলেজ।
সরকারের তরফে সমস্যা সমাধানে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। ইউনিফর্ম ছাড়া কোনও কিছুই স্কুল বা কলেজে পরার অনুমতি ছিল না। হিজাবের পাশাপাশি গেরুয়া উত্তরীয়র উপরেও জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই কর্নাটক হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করে বহু পড়ুয়া। তাদের অভিযোগ ছিল সরকার এই সিদ্ধান্ত আরোপ করে তাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।