মোদীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, উপস্থিত CDS ও ৩ বাহিনী প্রধান

High-Level Meet At PM Residence নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও-এ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু, তারপরই ভারতের অপারেশন সিঁদুর। একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ক্রমেই পরিস্থিতি…

মোদীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, উপস্থিত CDS ও ৩ বাহিনী প্রধান

High-Level Meet At PM Residence

নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও-এ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু, তারপরই ভারতের অপারেশন সিঁদুর। একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আপাতত সংঘর্ষ বিরতি হলেও সতর্ক ভারত৷ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হল৷ যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল দুই দেশের মধ্যে চলা উত্তেজনা, সামরিক পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতের কৌশল।

বৈঠকে যাঁরা ছিলেন

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধান — সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠী এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং — এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভাল, বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী, গোয়েন্দা ব্যুরোর ডিরেক্টর তপন ডेका এবং RAW প্রধান রবি সিনহাও বৈঠকে অংশ নেন।

   

পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা ও পরবর্তী ঘটনা High-Level Meet At PM Residence

২২ এপ্রিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-এ একটি সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত সরকার এই হামলাকে পাকিস্তানী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করে এবং হামলার মূল অপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ করার ঘোষণা করা হয়।

এরপর, ভারত ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে “অপারেশন সিঁদুর” চালায়। এই অভিযানে শতাধিক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়। পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে, কিন্তু ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সেগুলি সফলভাবে প্রতিহত করে।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট

চারদিনের তীব্র উত্তেজনার পর, ১০ মে ভারত এবং পাকিস্তান সামরিক অবস্থা বন্ধ করার জন্য একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। এই সমঝোতা ঘোষণার পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক চমকপ্রদ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেন যে, এই আলোচনা “মধ্যস্থতায়” হয়েছে। এরপর, দুই দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা একে অপরকে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার জন্য আলোচনার সিদ্ধান্ত নেন।

সামরিক পর্যালোচনার দিকে নজর

সোমবারের বৈঠকে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু দুই দেশের সীমান্তে বিরাজমান উত্তেজনা কমানোর সম্ভাব্য পদক্ষেপ। বৈঠকে উপস্থিত শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা একাধিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে সামরিক প্রস্তুতির পর্যালোচনা এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগের গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisements
বিমানবন্দর পুনরায় খোলা

উত্তেজনা হ্রাস পাওয়ার পর, ভারতের সরকার ৩২টি বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়, যেগুলি গত সপ্তাহে পাকিস্তান ও ভারত মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের জন্য বিমান পরিবহন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা হবে।

এখন কী হতে পারে?

আগামী দিনগুলোতে ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশের সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। আজ, ভারতের সামরিক প্রধানদের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক প্রধানদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে। এর পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মহলের চাপের কারণে দুই দেশই শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর দিকে নজর রাখতে পারে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সামরিক শক্তি, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে কীভাবে শেষ হয়, তা এখন সবার নজরে থাকবে।

 Bharat: PM Modi holds high-level security meeting after Pahalgam terror attack (26 killed) and Operation Sindur. Discussing India-Pakistan tensions, military options, and ceasefire. Top defense & diplomatic leaders present.