দিতে হবে কোভিড এর ডিটেইল রিপোর্ট, কেন্দ্রকে আদেশ হাই কোর্টের

দিল্লি হাইকোর্ট (high-court) কেন্দ্রীয় সরকারকে নমুনা সংগ্রহ, সংগ্রহ কেন্দ্র এবং নমুনা পরিবহন নীতির বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের বিস্তারিত স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জোর…

high-court

দিল্লি হাইকোর্ট (high-court) কেন্দ্রীয় সরকারকে নমুনা সংগ্রহ, সংগ্রহ কেন্দ্র এবং নমুনা পরিবহন নীতির বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের বিস্তারিত স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জোর দিয়ে বলেছে যে “কোভিড-১৯ মহামারী এখনও শেষ হয়নি।”

৩০ মে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠক

২০২৩ সালের ৩০ মে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকের পরবর্তী পদক্ষেপের স্পষ্টতার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস (এসওপি) চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের জরুরি প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ব্যাপক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে আদালত দ্রুত ও নির্ণায়ক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

   

ডাঃ রোহিত জৈনের দায়ের করা একটি অবমাননার আবেদন

এই নির্দেশ ডাঃ রোহিত জৈনের দায়ের করা একটি অবমাননার আবেদনের প্রেক্ষিতে এসেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, নমুনা সংগ্রহ ও পরিবহনের জন্য ন্যূনতম মান নির্ধারণের পূর্ববর্তী আদালতের আদেশ পালনে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। বিচারপতি অনীশ দয়ালের বেঞ্চকে গত সপ্তাহে সরকারি কৌঁসুলি মনিকা অরোরা জানিয়েছেন যে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

এটিও জানানো হয় যে, ২০২৩ সালের ২৭ জানুয়ারির আদালতের (high-court) আদেশের পর, ২০২৩ সালের ৩০ মে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য পরিষেবা) এর সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, হেমাটোলজি এবং মাইক্রোবায়োলজির বিশেষজ্ঞদের নিয়ে চারটি বিশেষজ্ঞ উপ-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই কমিটিগুলির সদস্যরা কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে নিযুক্ত হয়েছিল এবং তাদের কাজ ছিল নমুনা সংগ্রহ, সংগ্রহ কেন্দ্র এবং নমুনা পরিবহন নীতির জন্য এসওপি সংজ্ঞায়িত করা এবং রিপোর্ট জমা দেওয়া। এই নির্দেশিকাগুলির মধ্যে স্টোরেজ মানও অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল। এই উন্নয়ন সত্ত্বেও, আদালত জোর দিয়েছে যে বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পরবর্তী শুনানি

এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত (high-court) ১৮ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করেছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সময়ের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ২ জুন, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে ৩,৯৬১টি সক্রিয় কোভিড-১৯ কেস রেকর্ড করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩২-এ পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১ জুন, রবিবার থেকে চারটি নতুন মৃত্যু রিপোর্ট করা হয়েছে।

এই মামলাটি (high-court) কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে ভারতের চলমান প্রচেষ্টার প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লি হাইকোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশটি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ঢেউ মোকাবেলায় প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করে। সম্প্রদায়ের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রতিবেদনগুলি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলি মোকাবেলা করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

Advertisements

নমুনা সংগ্রহ এবং পরিবহনের জন্য সুস্পষ্ট এসওপি-এর অনুপস্থিতি মহামারী ব্যবস্থাপনায় একটি উল্লেখযোগ্য ফাঁক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা সঠিক পরীক্ষা এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাঃ রোহিত জৈনের অবমাননার আবেদনটি সরকারি কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতার উপর আলোকপাত করে।

২০২৩ সালের জানুয়ারির আদালতের (high-court) আদেশে নমুনা সংগ্রহ এবং পরিবহনের জন্য ন্যূনতম মান নির্ধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে, এই আদেশ বাস্তবায়নে বিলম্বের কারণে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়েছে। বিশেষজ্ঞ উপ-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও, আদালত উল্লেখ করেছে যে এই কমিটিগুলির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা এবং সুপারিশগুলি বাস্তবায়ন করা জরুরি।

ঘরোয়া লিগের প্রস্তুতিতে জোরদার শুরু ময়দানের দুই প্রধানের

কোভিড-১৯ মহামারী ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক সংক্রমণের প্রতিবেদন এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি সতর্কতা এবং প্রস্তুতির গুরুত্ব তুলে ধরেছে। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ জনস্বাস্থ্য নীতি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ভবিষ্যৎ সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পেতে পারে এবং জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হবে।

এই মামলার (high-court) পরবর্তী শুনানি ১৮ জুলাই নির্ধারিত হয়েছে, এবং স্ট্যাটাস রিপোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই রিপোর্টে এসওপি চূড়ান্তকরণ এবং বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য থাকবে, যা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ভারতের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই নির্দেশিকাগুলির গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন, কারণ সঠিক নমুনা সংগ্রহ এবং পরিবহন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিল্লি হাইকোর্টের (high-court) এই পদক্ষেপ জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বিচার বিভাগের সক্রিয় ভূমিকার একটি উদাহরণ। মহামারীর প্রেক্ষাপটে, এই ধরনের হস্তক্ষেপ সরকারকে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করে। ভবিষ্যতে কোভিড-১৯-এর সম্ভাব্য ঢেউ মোকাবেলায় ভারতের প্রস্তুতি এই নির্দেশিকাগুলির বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করবে।