আগামীকাল বিহার বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট। ভাগ্য নির্ধারণ হবে ১২২ আসনের প্রার্থীর। আগের দিন সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর ১ নম্বর গেটের পার্কিংয়ে একটি গাড়িতে আচমকা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে (Delhi Explosion near Red Fort )। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্কিংয়ে থাকা অন্যান্য কয়েকটি গাড়িতেও। এতে অন্তত দশ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লি দমকলের আধিকারিকরা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছায় একাধিক দমকল ইঞ্জিন। কিছু সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ, এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) এবং NSG (ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড) ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ফরেন্সিক দলও তদন্ত শুরু করেছে। দমকলের এক আধিকারিক জানান, “ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে, কিন্তু বিস্ফোরণ ও আগুনে কয়েকজন আহত হয়েছেন।” এই ঘটনার পর দিল্লি শহরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুধু দিল্লি নয়, মুম্বই এবং লখনউতেও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অযোধ্যায় রামমন্দিরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিস্ফোরণের পর প্রতিবেশী দেশের রাজধানীতে সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বাড়ল সরকার!
এদিকে, ফরিদাবাদে রিয়ানা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী এক ভাড়াবাড়িতে হানা দিয়ে ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এবং বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকের সঙ্গে ২০টি বোমার টাইমার, রিমোট ও ওয়াকিটকি ছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তদন্তকারীরা জইশ-ই-মোহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের সঙ্গে এই ঘটনার যোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
রাষ্ট্ৰীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, যাতে এই বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করা যায়। দিল্লি শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ঘটে যাওয়া এই বিস্ফোরণ জনজীবনে আতঙ্কগ্রাস করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, “হঠাৎ একপ্রকার ভয়াবহ বিস্ফোরণ শুনে সবাই আতঙ্কিত হয়ে ছুটে বেরিয়েছিল।”


